১০ বছর পর তুমুল আড্ডায় নায়ক উজ্জ্বল ও আলমগীর
উজ্জ্বল ও আলমগীর বাংলাদেশি সিনেমার সোনালি দিনের দুই নায়ক। অসংখ্য সফল সিনেমা উপহার দিয়েছেন তারা। সাদাকালো যুগের নন্দিত এই দুই নায়ক বহু বছর পর আড্ডা দিয়েছেন গত মঙ্গলবার। উজ্জ্বলের বনানীর বাসায় বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত তারা আড্ডা দেন।
চিত্রনায়ক উজ্জ্বল আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমাদের মধ্যে পরিচয় অনেক বছরের। পরিচয় থেকে একটা সময় সুন্দর একটা রিলেশন গড়ে ওঠে। তা আজও আছে। ১০ বছর পর তুমুল আড্ডায় মেতেছিলাম পরশু। দুজনে ফিরে গিয়েছিলাম সেই ফেলে আসা সোনালি দিনগুলোতে।'
১৯৭০ সালে সুভাষ দও পরিচালিত বিনিময় সিনেমা দিয়ে উজ্জ্বলের নায়ক হিসেবে অভিষেক। ১৯৭৩ সালে আলমগীর কুমকুম পরিচালিত আমার জন্মভূমি সিনেমা দিয়ে অভিষেক আলমগীরের।
নায়ক হিসেবে সফলতা ছাড়াও পরিচালক এবং প্রযোজক হিসেবেও তারা সুনাম অর্জন করেছেন। চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট সংগঠনের নেতৃত্বও দিয়েছেন উজ্জ্বল ও আলমগীর।
'সিনেমার শিল্পীদের মধ্যে আলমগীর সবচেয়ে বেশি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন' উল্লেখ করে উজ্জ্বল বলেন, 'এসেছিলেন মূলত আমার স্ত্রীর প্রয়াণের পর খোঁজখবর নিতে। তারপর চায়ের আড্ডায় আমরা ফিরে গিয়েছিলাম ৭০ দশকের সময়টায়।'
'একটা সময়ে এফডিসির ভেতরে আড্ডা দিতাম আমরা। এখন আর সেই অবস্থা নেই। সবাই নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। কিন্তু বন্ধন থাকাটা প্রয়োজন,' যোগ করেন তিনি।
উজ্জ্বল বলেন, 'আলমগীর একজন সামাজিক মানুষ। কোনোরকম অহংকার নেই। ফোনে সব সময় আমাদের মধ্যে যোগাযোগ ছিল। কোভিডের কারণে ২ বছর দেখা নেই। আড্ডা হয় না এক দশক হবে।'
তিনি বলেন, 'আলমগীর আমার বাসায় এসেছেন। লম্বা সময় আড্ডা দিয়েছেন। আমি খুবই আনন্দিত। দুজনেই নস্টালজিক হয়ে পড়েছিলাম।'
এখনকার শিল্পীদের উদ্দেশ্যে উজ্জ্বল বলেন, 'সবার মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় থাকুক। সবাই মিলে ভালো থাকার নামই জীবন।'
আড্ডা প্রসঙ্গে আলমগীর ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সুন্দর সময় কাটিয়েছি দুজনে। অনেকদিন পর প্রাণ খুলে কথা বলেছি আমরা।'
Comments