‘মিশা-জায়েদ আমার কাছে আগে এসেছিলেন বলেই তাদের প্যানেলে গিয়েছি’
বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের সফল ও সাড়া জাগানো অভিনেত্রী মৌসুমী। দুই যুগ ধরে চলচ্চিত্রাঙ্গনে আছেন তিনি। সম্প্রতি ৩টি সিনেমার শুটিংয়ের কাজ শেষ করেছেন। শিল্পী সমিতির নির্বাচনে মিশা-জায়েদ প্যানেলের হয়ে অংশ নেওয়ায় নতুন করে আলোচনায় এসেছেন তিনি।
আগামী ২৮ জানুয়ারি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ১৭তম দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন। এতে ইলিয়াস কাঞ্চন-নিপুণ এবং মিশা সওদাগর-জায়েদ খান এই দুই প্যানেলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন প্রার্থীরা। গতকাল বিকেলে দুই প্যানেলের প্রার্থীরা মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন।
এ নির্বাচন নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে কথা বলেন মৌসুমী।
দুই বছর আগে আপনি শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সভাপতি পদে প্রার্থী ছিলেন এবং মিশা সওদাগরের কাছে হেরে গিয়েছিলেন। অথচ এবার তাদের প্যানেল থেকেই নির্বাচন করার কারণ কী?
সত্যি কথা বলতে, মিশা-জায়েদ খানরা আমার কাছে আগে এসেছিলেন বলেই তাদের প্যানেলে গিয়েছি। তারা আমাকে প্রার্থী করার জন্যই আমার কাছে এসেছিলেন। আমাকে অনুরোধ করেছেন বলেই প্রার্থী হয়েছি। এছাড়া বিভেদ করে তো কিছু হয় না। মিলেমিশে কাজ করাটাই বেটার।
আমি চাই সবাই মিলেমিশে থাকি। সবাই মিলেই তো চলচ্চিত্র পরিবার। আর কোনো দ্বন্দ্ব চাই না। শিল্পী সমিতির নির্বাচন নিয়ে কোনো বিভেদ চাই না।
আপনার কি মনে হয় যে ভক্তরা এ সিদ্ধান্তে কষ্ট পাবেন?
না। ভক্তরা আমাকে ভালোবাসেন। আমিও তাদের ভালোবাসি। ভক্তরা আমাকে সম্মান করেন। আমিও সম্মান করি। একটি সমিতির নির্বাচন নিয়ে কেন এত কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি হবে? কেন এত দ্বন্দ্ব থাকবে? আমি এইসব চাই না। আমি চাই বন্ধন। আমি চাই সুন্দর পরিবেশ। সবাই মিলে একটা সুন্দর পরিবেশ বজায় থাকুক। ভক্তদের বলব আপনারা ভালো থাকুন এবং ভালোবাসায় পাশে রাখুন।
সিনিয়র শিল্পী ইলিয়াস কাঞ্চন সভাপতি প্রার্থী হয়েছেন। এটাকে কিভাবে দেখছেন?
ইলিয়াস কাঞ্চন ভাই অনেক ভালো মানুষ। অনেক বছরের চেনা জানা আমাদের। গত বছর নির্বাচনে তিনি প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করেছেন। তার একটা সুন্দর সোনালী অতীত আছে ঢাকাই সিনেমায়।
দুই প্যানেলের প্রার্থীদের নিয়ে বলতে চাই, অনেক যোগ্য প্রার্থী যেমন আছেন দুই প্যানেলে, পাশাপাশি কম যোগ্যও আছেন। শতভাগ কোনো কিছু হয় না। ভোটাররা সিদ্ধান্ত নেবেন কাকে ভোট দেবেন। এটা তাদের সিদ্ধান্ত। বারবার একটি কথায় জোর দেবো, অনেক হয়েছে আর না। আসুন, সবাই মিলে আমাদের চলচ্চিত্র শিল্পকে নিয়ে ভাবি, কাজ করি।
সম্প্রতি ৩টি সরকারি অনুদানের সিনেমায় কাজ করেছেন। তা নিয়ে কিছু বলুন।
ঠিক বলেছেন। সোনার চর, দেশান্তর ও ভাঙন তিনটি সিনেমার শুটিং শেষ করেছি। নতুন কাজের চেয়ে মাকে নিয়ে বেশি ভাবছি এখন। মনটা বেশি ভালো না। কারণ মায়ের শরীর বেশি ভালো না। মা আমেরিকায় আছেন। এখন একটাই চিন্তা মাকে দেখতে খুব দ্রুত যেতে হবে।
তাহলে কি নির্বাচনের দিন থাকা হচ্ছে না?
এখনো জানি না। নির্বাচন তার গতিতে চলবে। পরিবারের টানে আমাকে যেতে হবে। মায়ের জন্য সুস্থতা কামনা করছি।
শেষ প্রশ্ন করছি। সোনার চর সিনেমায় আপনি, ওমর সানী ও জায়েদ খান একসঙ্গে অভিনয় করেছেন। সেখান থেকেই কি সম্পর্কের উন্নতি?
(হাসি দিয়ে বললেন) নির্বাচন হবে একদিন। কিন্তু পথ চলতে হবে সারাজীবন। পরিচালক যাকে নেবেন সেভাবেই কাজ করতে হবে। সোনার চর সিনেমা করতে গিয়ে জায়েদ খানের সঙ্গে অভিনয় করা হলো। অনেক সম্মান দিয়েছেন আমাকে। ভালো লেগেছে সম্মান দেওয়াটা। সম্মান ও ভালোবাসা নিয়েই বাঁচব সবাই মিলে।
Comments