এখনো দর্শক আমাকে ‘আম্মাজান’ ডাকেন: শবনম
৬০-এর দশকের বাংলা সিনেমার জনপ্রিয় নায়িকা শবনম। তার সর্বশেষ অভিনীত সিনেমা ছিল আম্মাজান। এরপরে তাকে আর কোনো সিনেমাতে দেখা যায়নি। সম্প্রতি দ্য ডেইলি স্টারের মুখোমুখি হন নন্দিত এই অভিনেত্রী।
করোনাকালে দীর্ঘ দিন পাকিস্তানে ছিলেন, ওখানকার অভিজ্ঞতা বলুন-
পাকিস্তানের ফয়সালাবাদে এক ভক্তের বাড়িতে ছিলাম। ভক্তের কথা বলে শেষ করা যাবে না। তার ভালোবাসায় অভিভূত। তার নাম সাজিয়া, সে আমার বোন হয়ে গেছে। ওখানে থাকাকালীন কোনো শুটিং করিনি। কারণ করোনার জন্যে তেমন বের হতে পারিনি। ওখানকার কোনো চিকিৎসক আমার কাছ থেকে ডিজিট নিত না। ভিজিট দিতে গেলেই বলত, আপনার সিনেমা দেখে বড় হয়েছি।
১৯৫৮'তে 'হারানো দিন' দিয়ে বাংলা সিনেমায় অভিষেক। তারপর ৫০ বছরেরও বেশি সময় সিনেমায় অভিনয় করছেন। দেশের সিনেমার ইন্ডাস্ট্রির নিয়ে কোনো খবর রাখেন?
না। আমি কোথাও যাই না। দেশের সিনেমায় কী হচ্ছে না হচ্ছে, তার কিছুই জানি না। চুপচাপ থাকতে পছন্দ করি। এটুকু বুঝি আমাদের দেশের সিনেমা আরও বহুদূর যাওয়া দরকার ছিল। অথচ উন্নতি না হয়ে অবনতি হয়েছে। দেখুন- কাউকে ফলো করে বড় হওয়া যায় না। আমরা বাঙালি, আমাদের সিনেমার ঐতিহ্য আছে। আমাদের সিনেমা হবে আমাদের মতো। অন্য কারও মতো নয়।
এদশের সিনেমা শিল্পের কারও সঙ্গে যোগাযোগ আছে?
আমার সময়ের তেমন কেউ বেঁচে নেই। কবরী ছিলেন, তিনিও চলে গেলেন। তার মৃত্যুর খবরে খুব কষ্ট পেয়েছিলাম। নাসিমা খান বেঁচে আছেন। তার সঙ্গে মাঝে মাঝে ফোনে কথা হয়। গাজী মাজহারুল আনোয়ার একবার নিমন্ত্রণ করেছিলেন। সেখানে মৌসুমি, ওমর সানী ও পপির সঙ্গে দেখা হয়েছিল, কথাও হয়েছিল। মৌসুমি অনেক ভালো শিল্পী। আর কারও সঙ্গে তেমন যোগাযোগ নেই।
আপনি আম্মাজানের পরে আর কোনো সিনেমায় অভিনয় করেননি কেন?
আম্মাজান সিনেমার গল্প শুনে রাজি হয়ে যাই। তারপর আম্মাজান সিনেমাটি বিরাট নাম করল। এখনো দর্শকরা আমাকে 'আম্মাজান' বলে ডাকেন। এটাই বড় প্রাপ্তি। তারপর অনেক সিনেমার অফার পেয়েছি। কিন্তু, গল্প পছন্দ হয়নি বলেই আর কোনো সিনেমায় অভিনয় করিনি।
Comments