‘ঘরের ভেতরেই সময় কাটছে, দরজার বাইরে বের হচ্ছি না’

বিশ্বনন্দিত জাদুশিল্পী জুয়েল আইচ। জাদু দিয়ে জয় করেছেন বিশ্বের বহু দেশের মানুষের মন। অনেক দেশের কাছে বাংলাদেশের পরিচিত এনে দিয়েছেন জাদু দিয়ে।
নিজের বাসায় জুয়েল আইচ। স্টার ফাইল ছবি

বিশ্বনন্দিত জাদুশিল্পী জুয়েল আইচ। জাদু দিয়ে জয় করেছেন বিশ্বের বহু দেশের মানুষের মন। অনেক দেশের কাছে বাংলাদেশের পরিচিত এনে দিয়েছেন জাদু দিয়ে।

জাদুশিল্পী ছাড়াও তিনি একজন বংশীবাদক। বিবিসির অনুষ্ঠানেও বাঁশি বাজিয়েছেন তিনি। তার বাঁশির সুর শুনে মুগ্ধ হয়েছেন অনেকে। এ ছাড়া, তিনি ছবিও আঁকেন।

জুয়েল আইচ লেখালেখিও করেন সময় পেলে। মন ভালো থাকলে লেখালেখির কাজটি করেন। ইতোমধ্যে তার লেখা দুটি বই প্রকাশ পেয়েছে।

'অন্তরালের আমি' বইটি প্রকাশ করেছে সময় প্রকাশন। 'জীবন জয়ের জাদু' বইটি প্রকাশ করেছে জার্নি ম্যান।

জুয়েল আইচ বলেন, 'সবসময় লিখতে পারি না। মন চাইলে শুধু লিখি।'

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'আমার দুটি বইয়ে একটু একটু করে স্মৃতিকথামূলক লেখা আছে। যা নিজের জীবনেরই অংশ। পুরো আত্মজীবনী কখনো লেখা হয়নি।'

জুয়েল আইচের প্রিয় কাজ বই পড়া। অবসর পেলেই বই পড়েন। আর এখন তো অনেক অবসর।

তিনি বলেন, 'বইয়ের মধ্যেই আছি। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বহু লেখকের বই আমার ব্যক্তিগত সংগ্রহে আছে। সেসব পড়ছি। সময় কাটছে বই পড়ে।'

এই জাদুশিল্পীর রয়েছে বিশাল বইয়ের সংগ্রহ। যখনই বিশ্বের যে দেশে যান সবার আগে খুঁজে বের করেন কাছাকাছি বইয়ের দোকান কোথায় আছে। তারপর সময় করে সেখানে গিয়ে কেনেন পছন্দের বই।

বই পড়ছেন জুয়েল আইচ। স্টার ফাইল ছবি

জুয়েল আইচ বলেন, 'বই কেনাটা আমার ভীষণ পছন্দের। বই কেনা ও পড়া দুটিই ভালো লাগে।'

গত বছরের নভেম্বর মাসে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছিল একুশে পদকপ্রাপ্ত এই জাদুশিল্পীর। তারপর তাকে ভর্তি করা হয়েছিল হাসপাতালে। সেসময় তিনি আইসিইউতে ছিলেন।

এখন কেমন আছেন? এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'সবার দোয়া ও ভালোবাসায় ভালোই আছি।'

জাদুশিল্পের এখনকার অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে জুয়েল আইচ বলেন, 'খুবই দুরবস্থা। আমরা কাউকে কাউকে সাপোর্ট দিয়ে যাচ্ছি। এখন সব ধরনের জাদুর শো বন্ধ হয়ে আছে। কোথাও কোনো শো নেই। আমাদের মধ্যে যাদের অবস্থা একটু ভালো, তারা ম্যাজিশিয়ান ও ম্যাজিক লাভারদের (যাদের অবস্থা ভালো না) সাহায্য করছি।'

জাদু উন্নয়ন পরিষদ'র ব্যানারে এই সহযোগিতা করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

এ ছাড়া, জাদু নিয়ে আপাতত কিছুই করছেন না তিনি। কারণ হিসেবে বলেন, 'করোনায় ভুগেছি তো। সেই চিন্তা থেকে এখন জাদু নিয়ে কিছু করছি না। ঘরের ভেতরেই সময় কাটছে, দরজার বাইরে বের হচ্ছি না।'

Comments

The Daily Star  | English

11 years on, cries for justice remain unheeded

Marking the 11th anniversary of the Rana Plaza collapse, Bangladesh's deadliest industrial disaster, survivors and relatives of the victims today gathered at the site in Savar demanding adequate compensation and maximum punishment for the culprits

36m ago