এবার চাল রপ্তানি সীমিত করার কথা ভাবছে ভারত

অভ্যন্তরীন বাজারের চাহিদা মেটাতে ও মূল্যবৃদ্ধি রোধে ভারত এবার চাল রপ্তানিতে বিধিনিষেধ আরোপের দিকে যেতে পারে।
ছবি: সংগৃহীত

অভ্যন্তরীণ বাজারের চাহিদা মেটাতে ও মূল্যবৃদ্ধি রোধে ভারত এবার চাল রপ্তানিতে বিধিনিষেধ আরোপের দিকে যেতে পারে।

দ্য ডেইলি স্টারের নয়াদিল্লি প্রতিনিধি জানাচ্ছেন, ভারতের বাজারে বাসমতি বাদে অন্যান্য চাল ও নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যগুলোর মূল্য পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে দেশটির সর্বোচ্চ মহল। যদি এসব পণ্যের দাম বাড়ে, তাহলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়ার সম্ভাবনা আছে।

এরমধ্যে আগামী ১ জুন থেকে চিনি রপ্তানি সীমিত করার ঘোষণা দিয়েছে ভারত সরকার। গত ২৪ মে দেশটির বৈদেশিক বাণিজ্য অধিদপ্তরের এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সরকার এক কোটি টন পর্যন্ত চিনি রপ্তানির অনুমতি দেবে।

চীনের পর ভারত বিশ্বের দ্বিতীয় চাল উৎপাদনকারী দেশ। ২০২১-২২ অর্থবছরে দেশটি ১৫০টিরও বেশি দেশে চাল রপ্তানি করেছে।

দেশটির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ভাষ্য অনুসারে, ভারত থেকে ৫টি পণ্যের রপ্তানিতে বিধিনিষেধ আরোপের বিষয়টি ভাবা  হচ্ছে।

সূত্রগুলো বলছে, চাল রপ্তানির ক্ষেত্রে ঊর্ধ্বসীমা চিনির মতো ১০ মিলিয়ন টনে বেঁধে দেওয়া হতে পারে।

ভারতের ক্রমবর্ধমান মুল্যস্ফীতি নিয়ে সরকার উদ্বিগ্ন, যা গত আট বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ ৭ দশমিক ৭৯ শতাংশে পৌঁছেছে।

২০২২ সালে বাসমতি ছাড়া ভারত ৬ বিলিয়ন ডলারের বেশি চাল রপ্তানি করেছে, যা দেশটির সব কৃষিপণ্যের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বৈদেশিক মুদ্রা আনায়নকারী পণ্য।

ভারত সরকারের তথ্য অনুসারে, ২০১৩-১৪ অর্থবছর থেকে ২০২১-২২ অর্থবছর পর্যন্ত ভারত থেকে চাল রপ্তানি ১০৯ শতাংশ বেড়ে ৬ দশমিক ১২ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।

Comments