
বাংলাদেশ জুট মিল অ্যাসোসিয়েশন (বিজেএমএ), বাংলাদেশ জুট স্পিনার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজেএসএ) ও বাংলাদেশ জুট অ্যাসোসিয়েশনের (বিজেএ) বোর্ড সদস্যরা জানিয়েছেন, প্রতি মণ পাট কিনতে তারা ৩ হাজার টাকার বেশি দেবেন না। আগামী ২০ জানুয়ারি থেকে এ দাম কার্যকর করা হবে।
রোববার সকালে বিজেএমএর সভাকক্ষে পাটের উচ্চমূল্য ও দুষ্প্রাপ্যতা নিয়ে ৩ অ্যাসোসিয়েশনের বোর্ড সদস্যদের এক যৌথ সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এতে সভাপতিত্ব করেন বিজেএমএ চেয়ারম্যান মো. আবুল হোসেন। প্রধান অতিথি ছিলেন বিজেএসএ চেয়ারম্যান সেখ নাসির উদ্দিন।
বাজারে পাটের দুষ্প্রাপ্যতা ও উচ্চমূল্য নিয়ে অসন্তুষ্টি ও ক্ষোভ প্রকাশ করে সভায় সদস্যরা বলেন, 'এভাবে পাটের মূল্য বাড়লে দেশের পাটশিল্প ধ্বংসের প্রান্তে চলে যাবে। মিল মালিকরা যে দরে পাটজাত পণ্য বিক্রি করার জন্য বিক্রয় আদেশ পান, কাঁচা পাটের দর অনেক বেশি হওয়ায় উৎপাদন খরচ তার চেয়ে বেশি পড়ে যায়। ফলে মিল মালিকরা বিক্রিত মাল সরবরাহ করতে গিয়ে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন এবং উৎপাদন বন্ধ করে দিচ্ছেন।'
সদস্যরা বলেন, 'এক শ্রেণির অবৈধ মজুতদার কাঁচা পাটের ব্যবসায়ী বেআইনিভাবে কাঁচা পাট মজুদ করে বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে পাটের মূল্য বৃদ্ধি করেছেন।'
সভায় আরও বলা হয়, বাংলাদেশে গত বছর প্রায় ৭০ লাখ বেল পাট উৎপাদিত হয়েছে, যার মধ্যে সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ পাট ব্যবহৃত হয়েছে। এখনও ৭০ শতাংশ পাট অব্যবহৃত অবস্থায় গুদামে মজুদ আছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে বিজেএমএ, বিজেএসএ ও বিজেএ যৌথভাবে প্রচেষ্টা চালাবে।
এ ছাড়া, অবৈধ কাঁচা পাট মজুতকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পাটমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হবে বলে সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
Comments