পণ্য রপ্তানির আড়ালে সাড়ে ৬ কোটি টাকা বিদেশে পাচারের চেষ্টা
বিদেশে পোশাক পণ্য রপ্তানির নামে ৬ কোটি ৬২ লাখ ৬৭ হাজার ৭৮৮ টাকা পাচারের চেষ্টা ভণ্ডুল করে দিয়েছে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস কর্তৃপক্ষ।
রাজধানী ঢাকার উত্তরা ৭ নং সেক্টরের রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান 'আরএম সোর্সিং বাংলাদেশ' চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে সমুদ্রপথে পণ্যগুলো ফিলিপাইনে রপ্তানির চেষ্টা করছিল।
গতকাল বুধবার চালানটি আটক করেন কাস্টমসের অডিট, ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড রিসার্চ (এআইআর) বিভাগের কর্মকর্তারা। পরে কায়িক পরীক্ষা শেষে রাতে এ তথ্য গণমাধ্যমকে জানায় চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস।
জানা গেছে, চট্টগ্রামের প্রতিষ্ঠান কেডিএস লজিস্টিকস লিমিটেড বেসরকারি ডিপোয় কনটেইনারে পণ্য লোড করা হয় পাচারের উদ্দেশ্যে। তাদের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ছিল চট্টগ্রামের ১৬৮ সদরঘাটের বেঙ্গল প্রগ্রেসিভ এন্টারপ্রাইজ।
গত ৩ মাসের ব্যবধানে ঢাকার এই প্রতিষ্ঠানটি ১১৩টি পণ্য চালান রপ্তানির বিপরীতে কতো টাকা বিদেশে পাচার করেছে তার অনুসন্ধান চালিয়ে যাচ্ছে চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।
কায়িক পরীক্ষা শেষে দেখা গেছে, ৪টি পণ্য চালানের বিপরীতে রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানটি আইএফআইসি ব্যাংকের মাধ্যমে এলসি করেন। সে হিসেবে প্রতিষ্ঠানটি ২৪ হাজার ৩৪৪ পিসের বিপরীতে ২৯ হাজার ৯৪৪ ইউরো বা ২৯ লাখ ৬০ হাজার ২৪৮ টাকা প্রাপ্তি হতো।
তবে সঠিক ঘোষণা থাকলে বাংলাদেশি মুদ্রায় ৬ কোটি ৯২ লাখ ২৭ হাজার ৯৫২ টাকা প্রাপ্তি হতো। অর্থাৎ প্রতিষ্ঠানটি ৪ ধরনের পণ্য রপ্তানির আড়ালে ৬ কোটি ৬২ লাখ ৬৭ হাজার ৭৮৮ টাকা পাচারের চেষ্টা করেন।
কাস্টমসের এআইআর শাখার ডেপুটি কমিশনার মো. শরফুদ্দিন মিয়া ইউএনবিকে জানান, রপ্তানি ঘোষণা অনুযায়ী ৪ চালানে ২৪ হাজার ৩৪৪ পিস পোশাক থাকার কথা। কিন্তু, শতভাগ কায়িক পরীক্ষা শেষে সেখানে ৫ লাখ ৬৯ হাজার ৩২২ পিস পোশাক পাওয়া যায়। এর মধ্য দিয়ে কোটি ৬২ লাখ ৬৭ হাজার ৭৮৮ টাকা পাচারের চেষ্টা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কাস্টমস আইন ১৯৬৯ এবং প্রচলিত অন্যান্য আইন ও বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ কর্মকর্তার মতে, রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানটি ২০২০ সালের ২৫ অক্টোবর থেকে ২০২২ সালের ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত ১১৩টি পণ্যচালান রপ্তানি করে। এসব চালানে ঘোষণাতিরিক্ত পণ্য রপ্তানির মাধ্যমে অর্থপাচার হয়েছে কি না তা অনুসন্ধান করা হচ্ছে।
Comments