১৫ মিনিটে চার্জ দেওয়া যাবে ইলেকট্রিক গাড়িতে

ইলেকট্রিক গাড়ির জন্য বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত গতির চার্জার উদ্বোধন করেছে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান এবিবি। বৃহস্পতিবার প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে জানানো হয়— টেসলা, হুন্দাই ও অন্যান্য কোম্পানির তৈরি ইলেকট্রিক গাড়ির চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় তারা এই চার্জার বাজারে এনেছে। 
ছবি: রয়টার্স

ইলেকট্রিক গাড়ির জন্য বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত গতির চার্জার উদ্বোধন করেছে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান এবিবি। বৃহস্পতিবার প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে জানানো হয়—টেসলা, হুন্দাই ও অন্যান্য কোম্পানির তৈরি ইলেকট্রিক গাড়ির চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় তারা এই চার্জার বাজারে এনেছে। 

বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী বিদ্যুৎচালিত গাড়ির চার্জারের ব্যবসাকে আলাদা করে ফেলারও পরিকল্পনা আছে প্রতিষ্ঠানটির। যার মূল্য প্রায় ৩ বিলিয়ন ডলার হতে পারে বলে তারা ধারণা করা হচ্ছে। 

টেরা ৩৬০ মডিউলার চার্জারটি একসঙ্গে চারটি বৈদ্যুতিক গাড়ি চার্জ করতে পারবে এবং ১৫ মিনিটের মধ্যে যেকোনো গাড়ি শতভাগ চার্জ হয়ে যাবে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। 

তাদের দাবি, চার্জারটি দিয়ে ৩ মিনিটেরও কম সময়ের মধ্যে দেওয়া চার্জ দিয়ে একটি গাড়ি ১০০ কিলোমিটার দূরত্ব পর্যন্ত যেতে সক্ষম। এটি ২০২১-এর শেষ নাগাদ ইউরোপে এবং ২০২২ সালে যুক্তরাষ্ট্র, ল্যাটিন আমেরিকা এবং এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে পাওয়া যাবে। 

প্রধান নির্বাহী বিয়র্ন রোসেনগ্রেন জুলাইতে জানান, এ বছরের চতুর্থ প্রান্তিকের মধ্যে তারা বৈদ্যুতিক চার্জারের ব্যবসা নিয়ে পুঁজিবাজারে প্রবেশ করার জন্য সব ধরণের প্রস্তুতি শেষ করবেন। এরপর ২০২২ সালের প্রথম দিকে তারা বাজারে নতুন প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার ছাড়ার ব্যাপারে আশাবাদী। 

২০১০ সালে এবিবি ই-মোবিলিটি ব্যবসায় প্রবেশের পর থেকে এ পর্যন্ত বিশ্বের ৮৮টিরও বেশি দেশে ৪ লাখ ৬০ হাজারেরও বেশি বৈদ্যুতিক চার্জার বিক্রি করেছে। 

প্রতিষ্ঠানটি বিদ্যুৎচালিত গাড়ির চার্জারের ব্যবসার সিংহভাগ মালিকানা ধরে রাখতে আগ্রহী, কিন্তু তারা এটিকে 'স্পিন-অফ' করে আরও মূলধন জোগাড় করতে চাচ্ছে। এই বাড়তি অর্থ ব্যবহার করে এবিবি নতুন সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যার প্রতিষ্ঠান কিনে আরও বেশি প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে চায়।

 

Comments

The Daily Star  | English

Create right conditions for Rohingya repatriation: G7

Foreign ministers from the Group of Seven (G7) countries have stressed the need to create conditions for the voluntary, safe, dignified, and sustainable return of all Rohingya refugees and displaced persons to Myanmar

5h ago