ডিসেম্বরে বাংলাদেশে যেতে পারবেন অস্ট্রেলিয়া প্রবাসীরা

অস্ট্রেলিয়ার আন্তর্জাতিক সীমান্ত দীর্ঘ ১৮ মাস পর খুলে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন।

অস্ট্রেলিয়ার আন্তর্জাতিক সীমান্ত দীর্ঘ ১৮ মাস পর খুলে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন।

আগামী মাস থেকে সীমিত আকারে কয়েকটি দেশে অস্ট্রেলিয়ার পতাকাবাহী একমাত্র উড়োজাহাজ কোয়ান্টাস চলাচল শুরু করবে।

২০২০ সালের মার্চ থেকে অস্ট্রেলিয়াতে আন্তর্জাতিক উড়োজাহাজ চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা ছিল। এর ফলে প্রতি বছর বিভিন্ন প্রয়োজনে বাংলাদেশে যাতায়াত করা কয়েক হাজার অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী বাংলাদেশি আটকে পড়েন। দেশে ফিরতে না পেরে তাদের দীর্ঘদিন থাকতে হয়েছে প্রিয়জনদের থেকে দূরে।

অস্ট্রেলিয়ার আন্তর্জাতিক সীমান্ত খুলে দেওয়ার ঘোষণা আসার পরপরই শত শত অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী বাংলাদেশি উড়োজাহাজের অগ্রিম টিকেট কিনেছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সেগুলোর ছবি দিয়ে উল্লাসও প্রকাশ করেছেন।

আগামী ডিসেম্বরে বড়দিনের আগে পূর্ণ ডোজ টিকা নেওয়া যাত্রীরা অস্ট্রেলিয়া থেকে বিশ্বের যেকোনো দেশে ভ্রমণ করতে পারবেন। ফিরে আসা যাত্রীদের শুধুমাত্র ৭ দিনের জন্য হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে।

কোয়ান্টাস প্রধান অ্যালান জয়েস বলেছেন, 'অস্ট্রেলিয়া চিরতরে বন্ধ থাকতে পারে না।' তিনি নিশ্চিত করেছেন, আগামী ১৮ ডিসেম্বর থেকে কোয়ান্টাসের উড়োজাহাজ নিয়মিত চলাচল শুরু করবে। ১৭ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে সরকার আন্তর্জাতিক ভ্রমণের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেবে।

প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন গত শুক্রবার বলেন, আন্তর্জাতিক ভ্রমণ পুনরায় শুরু করার আগে দেশের নাগরিকদের ৮০ শতাংশের বেশি টিকা দেওয়া সম্পন্ন হবে।

তিনি আরও বলেন, এখন অস্ট্রেলিয়ানদের স্বাভাবিক জীবন ফিরিয়ে দেওয়ার সময় এসেছে।

জুলাইয়ের শেষে প্রকাশিত ফেডারেল সরকারের জাতীয় পরিকল্পনার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিল আন্তর্জাতিক সীমানা পুনরায় চালু করা। অস্ট্রেলিয়ার ১৩টি আন্তর্জাতিক এয়ারপোর্টের মধ্যে প্রথমে খুলে দেওয়া হবে সিডনি কিংস স্মিথ আন্তর্জাতিক এয়ারপোর্ট। কারণ দেশটির রাজ্যগুলোর মধ্যে নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যেই টিকা নেওয়ার হার সব থেকে বেশি।

আকিদুল ইসলাম: অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী লেখক, সাংবাদিক

Comments

The Daily Star  | English
Bangladeshi ship hijacked by Somalian pirates

MV Abdullah: Pirates bring in food as stock starts to deplete

As food stock in the hijacked Bangladeshi ship MV Abdullah was depleting, pirates recently started bringing in food.

16h ago