জরুরি ফ্লাইটে আফগানিস্তান থেকে ফিরছেন ২৬ অস্ট্রেলিয়ান

অস্ট্রেলিয়ার একটি জরুরি ফ্লাইট আজ বুধবার সকালে কাবুল এয়ারপোর্ট থেকে দেশের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছে। এতে অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক, অস্ট্রেলিয়ার ভিসাধারী আফগান এবং একজন বিদেশি কর্মকর্তা আছেন। বর্তমানে ফ্লাইটটি সংযুক্ত আরব আমিরাতে অস্ট্রেলিয়ান একটি ঘাঁটিতে অবতরণ করেছে। সেখানে যাত্রীদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
ফ্লাইটটিতে অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক, অস্ট্রেলিয়ার ভিসাধারী আফগান এবং একজন বিদেশি কর্মকর্তা আছেন। ছবি: সংগৃহীত

অস্ট্রেলিয়ার একটি জরুরি ফ্লাইট আজ বুধবার সকালে কাবুল এয়ারপোর্ট থেকে দেশের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছে। এতে অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক, অস্ট্রেলিয়ার ভিসাধারী আফগান এবং একজন বিদেশি কর্মকর্তা আছেন। বর্তমানে ফ্লাইটটি সংযুক্ত আরব আমিরাতে অস্ট্রেলিয়ান একটি ঘাঁটিতে অবতরণ করেছে। সেখানে যাত্রীদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

বিশৃঙ্খল আফগানে অস্ট্রেলিয়া তার নাগরিকদের এক মুহূর্তও অবস্থান করতে দিতে চায় না। গতকাল মঙ্গলবার সে দেশে অবস্থানরত সব অস্ট্রেলিয়ানকে কাবুল এয়ারপোর্টে আসার জন্য বলা হয়েছিল। এই অল্প সময়ের নোটিশে যারা এয়ারপোর্টে আসতে পেরেছেন শুধু তাদেরকে নিয়েই জরুরি ফ্লাইটটি উড্ডয়ন করেছে। এটিই অস্ট্রেলিয়ার প্রথম জরুরি ফ্লাইট।

আজ ক্যানবেরায় প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন গণমাধ্যমকে বলেন, 'কাবুল এয়ারপোর্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আমাদের প্রক্রিয়াটি খুব সহজ ছিল না।'

'আমাদের এ বিষয়ে খুব পরিষ্কার অবস্থান নিতে হবে। আমরা সব ধরনের বিচক্ষণতা ও সতর্কতা অবলম্বন করছি এবং এই চাপযুক্ত পরিস্থিতিতে খুব বাস্তব প্রয়োজন মেটাতে জরুরি ভিত্তিতে এগিয়ে যাচ্ছি', বলেন তিনি।

কাবুলের স্থানীয় এক সূত্র এসবিএস নিউজকে জানায়, আফগানিস্তানে অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন দোভাষীসহ অন্যান্য সহযোগীরা প্রাথমিকভাবে এই প্রথম উদ্ধার অভিযানের অংশ হবে না জানানোর পরও অনেকেই এয়ারপোর্টে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী স্বীকার করেছেন যে, অস্ট্রেলিয়া তার সব সাবেক দোভাষী এবং কর্মীদের উদ্ধার করতে পারবে না যারা আফগানিস্তানে অস্ট্রেলিয়ার ২০ বছরের মিশনকে সহায়তা করেছিল।

তিনি বলেছেন, 'আমাদের সব নাগরিককে সে দেশ থেকে বের করে আনার জন্য যতক্ষণ পর্যন্ত ফ্লাইট পরিচালনা করা সম্ভব ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা কাজ করে যাব। যত দ্রুত সম্ভব এবং যতটা সম্ভব নিরাপদে মানুষকে বের করে আনব।'

প্রায় ১৩০ অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক, ২০০ জনেরও বেশি দোভাষী এবং দূতাবাসের প্রহরী আফগানিস্তানে আছেন। সোমবার কাবুলের বিমানবন্দর সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। বিশৃঙ্খল অবস্থার পর শত শত মানুষ উদ্ধার করতে যাওয়া ফ্লাইটে জোর করে উঠার চেষ্টা করেছিলেন।

আকিদুল ইসলাম: অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী লেখক, সাংবাদিক

Comments

The Daily Star  | English
Prime Minister Sheikh Hasina

Take effective steps to get maximum benefit after LDC graduation: PM

Prime Minister Sheikh Hasina today asked all concerned to take effective steps for availing maximum benefits and facilities after the country's graduation from LDC status in 2026 and also to devise strategies to face the challenges following the graduation

20m ago