এমসিজিতে ওয়ার্নকে শেষ বিদায় জানালো অস্ট্রেলিয়ার মানুষ

ভিক্টোরিয়ার সন্তান শেষ ওয়ার্নের অসংখ্য স্মৃতি মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে (এমসিজি)। গতকাল বুধবার ৫৫ হাজারের বেশি মানুষ সেখানে সমবেত হয়ে রাষ্ট্রীয়ভাবে বিদায় জানালেন অস্ট্রেলিয়ার এই কিংবদন্তি লেগ স্পিনারকে।
মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে শেন ওয়ার্নকে শেষ বিদায়ের আয়োজন। ছবি: সংগৃহীত

ভিক্টোরিয়ার সন্তান শেষ ওয়ার্নের অসংখ্য স্মৃতি মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে (এমসিজি)। গতকাল বুধবার ৫৫ হাজারের বেশি মানুষ সেখানে সমবেত হয়ে রাষ্ট্রীয়ভাবে বিদায় জানালেন অস্ট্রেলিয়ার এই কিংবদন্তি লেগ স্পিনারকে।

দেশটির প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন ফেডারেল সরকার ঘোষিত বাজেট আলোচনা সংক্ষিপ্ত করে ওই অনুষ্ঠানে যোগ দেন। জানিয়ে দেন, রাষ্ট্রের কাছে একজন ক্রিকেটারের অবদান কতটা গুরুত্বপূর্ণ।

বিদায়কালে ওই অনুষ্ঠানে ওয়ার্নকে স্মরণ করা হয় একজন একনিষ্ঠ বাবা, নিবেদিত বন্ধু ও ক্রিকেট কিংবদন্তি হিসেবে।

সংগীতশিল্পী এলটন জনের 'ডোন্ট লেট দ্য সান গো ডাউন অন মি' শীর্ষক রেকর্ডকৃত গানের সঙ্গে ১ মিনিট নীরবতা পালনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সুচনা হয়।

এরপর জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করেন স্যার ডোনাল্ড ব্র্যাডম্যানের নাতনি গ্রেটা ব্র্যাডম্যান।

মর্মস্পর্শী বক্তৃতায় শেন ওয়ার্নের বাবা কিথ ওয়ার্ন তার ছেলের মৃত্যুর দিনটিকে অভিহিত করেন তার 'পরিবারের সবচেয়ে অন্ধকার দিন' হিসেবে।

তিনি বলেন, 'তোমার মা ও আমি তোমাকে ছাড়া জীবন কল্পনা করতে পারি না। তোমাকে খুব তাড়াতাড়ি নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আমাদের হৃদয় ভেঙে গেছে।'

এরপর একে একে বক্তব্য দেন ওয়ার্নের ৩ সন্তান– জ্যাকসন, সামার ও ব্রুক। তারা এমসিজির গ্রেট সাউদার্ন স্ট্যান্ডের নাম পরিবর্তন রাখা 'শেন ওয়ার্ন স্ট্যান্ড'-এর ফলক উন্মোচন করেন।

এদিন অস্ট্রেলিয়ার এই ক্রিকেট কিংবদন্তিকে শ্রদ্ধা জানাতে সেখানে প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসনের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন বিরোধীদলীয় নেতা অ্যান্টনি আলবানিজ ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী জন হাওয়ার্ড।  অন্যদের মধ্যে ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার পুরুষ ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক অ্যালান বর্ডার, মার্ক টেইলর, স্টিভ ওয়াহ, প্রাক্তন ইংরেজ অধিনায়ক নাসের হুসেইন এবং ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান গ্রেট ব্রায়ান লারা।

টেস্ট ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৭০৮ উইকেট নেওয়া ওয়ার্ন ছুটি কাটাতে গিয়ে গত ৪ মার্চ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন কয়েক হাজার কিলোমিটার দূরের থাইল্যান্ডের কোহ সামুইয়ে।

মৃত্যুর ছয় দিন পর থাইল্যান্ড থেকে দেশে নেওয়া হয় অস্ট্রেলিয়ান কিংবদন্তির মরদেহ।

আকিদুল ইসলাম : অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী লেখক, সাংবাদিক

Comments

The Daily Star  | English

Fire breaks out at Dhaka Shishu Hospital

Five fire engines are trying to douse the blaze that originated around 1:45pm at the Cardiac ICU of the hospital

31m ago