অস্ট্রেলিয়ায় কারাগার থেকে পালানো আসামির ৩০ বছর পর আত্মসমর্পণ
১৯৯২ সালে হ্যাকসো ব্লেড ও বোল্ট কাটার ব্যবহার করে অস্ট্রেলিয়ার গ্রাফটন কারাগার থেকে পালিয়েছিলেন ৩৫ বছর বয়সী ডার্কো ডেসিক। ৩০ বছর পর গত মঙ্গলবার নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যের ডি হোয়াই থানায় আত্মসমর্পণ করেছেন তিনি।
এখন তার বয়স ৬৫ বছর।
সাধারণত, অস্ট্রেলিয়ার কারাগার থেকে পালানো আসামিরা এক থেকে দুই বছরের মধ্যে আত্মসমর্পণ করেন অথবা পুলিশের হাতে ধরা পড়েন। তাই দীর্ঘ ৩০ বছর পর ডেসিকের আত্মসমর্পণের ঘটনায় আলোচনার ঢেউ উঠেছে গোটা দেশ জুড়ে। বিস্ময় প্রকাশ করেছে প্রশাসন।
অস্ট্রেলিয়ার প্রায় সব গণমাধ্যমের শিরোনাম এখন যুগোস্লাভিয়ান বংশোদ্ভূত ডার্কো ডেসিক। গাঁজা চাষের অপরাধে সাড়ে ৩ বছরের সাজা হয়েছিল তার। পুলিশের দেওয়া তথ্য মতে, গ্রেপ্তারের ১৩ মাস পর ১৯৯২ সালের ৩১ জুলাই সন্ধ্যা ৭ টা থেকে ১ আগস্ট সকাল ৭টার মধ্যে কোনো এক সময় গ্রাফটনের হুফ স্ট্রিটের একটি কারাগার থেকে তিনি পালিয়ে যান।
৩০ বছরেও তার সন্ধান না পাওয়ায় পুলিশের ব্যর্থতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে সামাজিক সংস্থাগুলো।
নিউ সাউথ ওয়েলস পুলিশ ফোর্সের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে বলা হয়েছে, '৩০ বছর ধরে একজন মোস্ট ওয়ান্টেড আসামিকে খুঁজে পেতে পুলিশ ব্যর্থ হয়েছে। তিনি আত্মসমর্পণ করলে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।'
পুলিশ আরো জানিয়েছে, আগের অভিযোগের পাশাপাশি ডেসিকের বিরুদ্ধে আইনি হেফাজত থেকে পালানোর নতুন আরেকটি অভিযোগ আনা হয়েছে।
গত মঙ্গলবার ডেসিককে স্থানীয় আদালতে হাজির করা হয়। আদালত তার জামিন প্রত্যাখ্যান করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর একই আদালতে তাকে আবার উপস্থিত করা হবে।
পলাতক আসামি হয়েও, ডেসিক নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যের নর্দান বীচ এলাকায় নির্মাণ শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। মোস্ট ওয়ান্টেড এই আসামি অস্ট্রেলিয়ায় অবস্থান করে এতো বছর কীভাবে শান্তিপূর্ণ জীবনযাপন করেছেন, সেই বিষয়ে গুরুতর অপরাধ স্কোয়াডের তদন্ত ইউনিট ও গোয়েন্দারা ইতোমধ্যে তদন্ত শুরু করেছেন।
আত্মসমর্পণের পর ডেসিক পুলিশকে বলেন ,তাকে যুগোস্লাভিয়ায় নির্বাসনে পাঠানো হবে বলে আশঙ্কা করছিলেন তিনি।
আকিদুল ইসলাম : অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী লেখক, সাংবাদিক
Comments