মেঘনা থেকে বালু উত্তোলন করতে পারবেন না সেলিম খান, হাইকোর্টে রিট খারিজ

চাঁদপুরের মেঘনা নদী থেকে বালু উত্তোলন ও বিক্রি করতে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা সেলিম খানকে অনুমতি দেননি হাইকোর্ট।
ছবি: জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের সৌজন্যে

চাঁদপুরের মেঘনা নদী থেকে বালু উত্তোলন ও বিক্রি করতে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা সেলিম খানকে অনুমতি দেননি হাইকোর্ট।

আজ সোমবার বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিঞা ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ বিষয়ে একটি রিট আবেদনের শুনানি শেষে সেটি খারিজ করে দেন।

এর আগে গত মাসে সেলিম খান মেঘনা নদী থেকে ২৮ দশমিক ৪ লাখ ঘনফুট বালু বা মাটি উত্তোলন ও বিক্রির অনুমতি চেয়ে আদালতে আবেদন করেছিলেন।

আবেদনে চাঁদপুর সদর উপজেলার শাখুয়া, ইচুলি ও মির্জাপুর মৌজা এবং হাইমচর উপজেলার মনিপুর ও চরকৃষ্ণপুর মৌজা থেকে বালু উত্তোলনের অনুমতি চাওয়া হয়েছিল।

আজ শুনানিতে আবেদনকারীর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী জাফর আলম খান এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মইনুল হাসান।

জাফর আলম খান দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, সেলিম খান হাইকোর্টের এ আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আপিল করবেন।

তিনি বলেন, এর আগে চাঁদপুরে অন্যান্য এলাকায় মেঘনা নদী থেকে বালু উত্তোলনে সেলিম খানকে খানকে হাইকোর্টের দেওয়া ২টি অনুমোদনের আদেশ আপিল বিভাগ স্থগিত করায় আজ হাইকোর্ট আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছেন।

হাইড্রোলিক জরিপ ও নদী থেকে বালু উত্তোলনের জন্য সেলিম খান ইতোমধ্যে চাঁদপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে রয়্যালটির টাকা জমা দিয়েছেন বলেও জানান এই আইনজীবী।

সেলিম খান চাঁদপুর সদর উপজেলার ১০ নম্বর লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। বর্তমানে তিনি ওই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি।

এর আগে তার বিরুদ্ধে জমির দাম বাড়তি দেখিয়ে এবং বেআইনিভাবে বালু উত্তোলন করে পরিবেশের ক্ষতিসাধন করে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে দুদক।

Comments