রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রে উৎপাদন শুরু ডিসেম্বরে

সুন্দরবন থেকে প্রায় ১৪ কিলোমিটার দূরে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিটটির নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ করেছে বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড। এ প্রকল্প নিয়ে পরিবেশপ্রেমীদের বিক্ষোভের মধ্যেই চলতি বছরের ডিসেম্বরে এখানে বাণিজ্যিকভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হবে।
নির্মাণাধীন রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র। ছবি: আনিসুর রহমান।

সুন্দরবন থেকে প্রায় ১৪ কিলোমিটার দূরে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিটটির নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ করেছে বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড। এ প্রকল্প নিয়ে পরিবেশপ্রেমীদের বিক্ষোভের মধ্যেই চলতি বছরের ডিসেম্বরে এখানে বাণিজ্যিকভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হবে।

বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী আবছার উদ্দিন আহমেদ বিষয়টি দ্য ডেইলি স্টারকে জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, 'আশা করছি আগামী ডিসেম্বরে এখানে বাণিজ্যিকভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করব এবং জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ যোগ করতে পারবো।'

তিনি জানান, পরিবেশগত সব আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে। এই বিদ্যুৎকেন্দ্রে আমদানি করা উন্নতমানের কয়লা ব্যবহার করা হবে। আল্ট্রা সুপার প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে স্বল্প কয়লা ব্যবহার করে অধিক বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাবে।

ইতোমধ্যে প্রকল্পের ৮০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে এবং পরীক্ষামূলক পরিচালনার উৎপাদন ইউনিট প্রায় প্রস্তুত হয়ে গেছে বলে জানান তিনি।

২০১৬ সালে ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কমিটি (ডব্লিউএইচসি) এ প্রকল্পের পরিবেশগত মূল্যায়ন করে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে কোনও 'বৃহত্তর শিল্প বা অবকাঠামোগত উন্নয়ন' করা উচিত নয় বলে বাংলাদেশ সরকারকে জানিয়েছিল।

এই শর্ত না মানলে সুন্দরবনের বিশ্ব ঐতিহ্য মর্যাদা বাতিল হতে পারে বলেও তখন বাংলাদেশকে সতর্ক করেছিল তারা। ডব্লিউএইচসি আগামী ২০ জুলাইয়ের বৈঠকে সামগ্রিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে যাচ্ছে।

কিন্তু, রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র কর্তৃপক্ষ তার আগেই করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে এখানে পরীক্ষামূলক উৎপাদনে যেতে চায়।

কাজী আবছার উদ্দিন আহমেদ বলেন, 'কয়েক মাস আগেই পরীক্ষামূলক পরিচালনা শুরুর কথা ছিল। তবে, করোনার কারণে ভারত থেকে কর্মীরা আসতে না পারায় তা করা যায়নি।'

'ভারত ১৪ জুলাই সীমান্ত খোলার পর তারা এলে এটা সম্ভব হবে,' যোগ করেন তিনি।

ভারত থেকে তিন হাজার ২০০ টন কয়লা আমদানির বিষয়ে জানতে চাইলে কাজী আবছার বলেন, 'এগুলো প্লান্টের কয়লার শেডের ফ্লোরে ব্যবহার করা হবে, বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য নয়। এ বিষয়ে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয় একটি বিজ্ঞপ্তিও দিয়েছে।'

ইংরেজি থেকে অনুবাদ করেছেন ইমরান মাহফুজ

সংক্ষেপিত: ইংরেজিতে পুরো প্রতিবেদনটি পড়তে ক্লিক করুন Rampal Power Plant: Production to start in December

Comments

The Daily Star  | English

Dhaka denounces US 2023 human rights report

Criticising the recently released US State Department's 2023 Human Rights Report, the foreign ministry today said it is apparent that the report mostly relies on assumptions and unsubstantiated allegations

2h ago