গ্যাসের গ্রাহকদের প্রি-পেইড মিটারে আনার সুপারিশ সংসদীয় কমিটির
গ্যাস ব্যবহারকারী সব গ্রাহককে শিগগির প্রি-পেইড মিটারের আওতায় আনার সুপারিশ করেছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।
আজ সোমবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত কমিটির বৈঠকে এই সুপারিশ করা হয়। আবাসিক খাতে গ্যাসের অপচয় রোধে এ সুপারিশ করেছে স্থায়ী কমিটি।
গ্যাস বিতরণ কোম্পানিগুলোকে নিজস্ব অর্থায়নে এই কাজের নির্দেশনা দিয়েছে কমিটি।
সূত্র জানায়, বৈঠকে বিদ্যুতের উৎপাদন স্বাভাবিক রাখতে সন্ধ্যা ছয়টা থেকে চার ঘণ্টা সারা দেশে সিএনজি ফিলিং স্টেশন বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়ে আলোচনা হয়। এ আলোচনার সূত্রে কমিটি গ্যাসের আবাসিক গ্রাহকদের দ্রুত প্রি-পেইড মিটারের আওতায় আনার সুপারিশ করে।
বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি ওয়াসিকা আয়শা খান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, বিদ্যুৎকেন্দ্রে গ্যাসের সরবরাহ ঠিক রাখতে সিএনজি স্টেশনগুলোতে 'রেশনিং' করা হচ্ছে। এই মুহূর্তে এটি করা ছাড়া উপায় নেই।
তবে, এটি চূড়ান্ত কোনো সমাধান নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, 'আমাদের গ্যাসের অপচয় কমাতে হবে। সে ক্ষেত্রে, প্রি-পেইড মিটার স্থাপন করা খুবই জরুরি। দেশের গ্যাস বিতরণ কোম্পানিগুলোর আর্থিক সক্ষমতা আছে। তারা নিজস্ব অর্থায়নে এই কাজ করতে পারে।'
কী পরিমাণ গ্যাসের অপচয় হচ্ছে, জানতে চাইলে তিনি জানান, এ সম্পর্কিত কোনো তথ্য তার কাছে নেই। তবে, গ্যাসের অবৈধ সংযোগ বন্ধ করতে মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যেই অনেক উদ্যোগ নিয়েছে।
আগের একটি সংসদীয় কমিটির কার্যবিবরণী থেকে জানা যায়, দেশে আবাসিক খাতে গ্যাসের গ্রাহক প্রায় ৪৩ লাখ। ২০১১ সাল থেকে প্রি-পেইড মিটার স্থাপন কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর থেকে গত বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত নিজস্ব ও বৈদেশিক অর্থায়নে কয়েকটি প্রকল্পের আওতায় ২ লাখ ৭৩ হাজার ১০০ আবাসিক শ্রেণির গ্রাহকের প্রি-পেইড মিটার স্থাপন করা হয়।
আজ স্থায়ী কমিটির বৈঠকে অংশ নেন কমিটির সদস্য বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, মো. আলী আজগার, মো. নুরুল ইসলাম তালুকদার, মো. আছলাম হোসেন, খালেদা খানম ও নার্গিস রহমান।
Comments