সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে পানি ৩-৪ ইঞ্চি কমেছে

সুনামগঞ্জের দোয়ারবাজার উপজেলায় বন্যার পানি ৩ থেকে ৪ ইঞ্চি কমেছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দেবাংশু কুমার সিংহ।
সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ। ছবি: মিন্টু দেশোয়ারা/স্টার

সুনামগঞ্জের দোয়ারবাজার উপজেলায় বন্যার পানি ৩ থেকে ৪ ইঞ্চি কমেছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দেবাংশু কুমার সিংহ।

আজ শুক্রবার তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য জানান।

ইউএনও দেবাংশু কুমার সিংহ বলেন, 'তবে, অনেক এলাকার সড়কে এখনো পানি আছে।'

উপজেলা সদর ও সুরমা ইউনিয়নের অনেক বাড়িঘর, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, রাস্তাঘাট প্লাবিত হয়েছে বলেও জানান তিনি।

স্থানীয় সূত্র দ্য ডেইলি স্টারকে জানিয়েছে, জেলার ছাতক ও দোয়ারবাজার উপজেলায় লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ছেন। সেখানকার ২টি কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন শতাধিক পরিবার।

তারা আরও জানিয়েছেন, ছাতকে বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। গত ২ দিন ভারি বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢল অব্যাহত থাকায় উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভাসহ নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে।

ছাতক সদরের ইসলামপুর, নোয়ারাই, সিংচাপইর, উত্তর খুরমা, জাউয়াবাজার কালারুকাসহ ১০ ইউনিয়নের মানুষ সবচেয়ে বেশি বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। পানিবন্দি হয়ে আছেন প্রায় ৮ হাজার পরিবার।

দোয়ারাবাজার উপজেলা সদর, সুরমা ও দোহালিয়ায় মানুষও পানিবন্দি হয়ে আছেন।

এই ২ উপজেলায় রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি, ২ শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শতাধিক মৎস্য খামার বন্যায় তলিয়ে গেছে। গোবিন্দগঞ্জ-ছাতক সড়কের বিভিন্ন অংশ পানির নিচে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে আসা ঢলের পানিতে সুনামগঞ্জে দুর্ভোগ বাড়ছেই। জেলা সদরের সঙ্গে ভেঙে পড়েছে ৪ উপজেলার সড়ক যোগাযোগ। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ছাতক ও দোয়ারাবাজার উপজেলার মানুষ।

প্রবল বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের কারণে সুরমা, চেলা ও পিয়াইন নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। ফলে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় ৫ লক্ষাধিক মানুষ। গত ২৪ ঘণ্টায় এখানে ১৮০ মিলি মিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

ছাতক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মামুনুর রহমান ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ছাতক পৌর এলাকার প্রায় পুরোটাই প্লাবিত। ইসলামপুর ও নোয়ারাই ইউনিয়নে অবস্থার অবনতি হয়েছে। সেখানে ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে।'

'দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মেঘনার ওপরের অংশে প্রধান নদ-নদীগুলো পানি বাড়ছে। এটি অব্যাহত থাকতে পারে' উল্লেখ করে সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জহরুল ইসলাম ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সুরমা, কুশিয়ারা, ভোগাই-কংস, ধনু-বাউলাই নদীর পানি কয়েকটি পয়েন্টে সময় বিশেষে দ্রুত বাড়তে পারে।'

'ফলে, সিলেট ও সুনামগঞ্জের নিম্নাঞ্চলের কয়েকটি স্থানে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে,' যোগ করেন তিনি।

জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমরা এখন পর্যন্ত বিভিন্ন উপজেলায় ৩০ মেট্রিক টন চাল, সাড়ে ৬ লাখ টাকা ও ২ হাজার বস্তা খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছি।'

Comments

The Daily Star  | English

Sajek accident: Death toll rises to 9

The death toll in the truck accident in Rangamati's Sajek increased to nine tonight

6h ago