সিরাজগঞ্জে কমছে যমুনার পানি
টানা ২০ দিন পর সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীতে পানি কমতে শুরু করেছে। তবে যমুনায় পানি কমলেও এখনও বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি। পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, নদীতে পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে পানিবন্দী এলাকা থেকে পানি নামতে শুরু করবে, তবে পুরোপুরি পানি নেমে যেতে বেশ কিছুদিন সময় লাগবে।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. নাসির উদ্দিন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'রোববার সকালে সিরাজগঞ্জের হার্ড পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি ১৩ দশমিক ৯৪ মিটার উচ্চতায় প্রবাহিত হচ্ছে, যা গতকাল ১৪ দশমিক শূন্য ২ মিটার উচ্চতায় প্রবাহিত হচ্ছিল। গত ২৪ ঘণ্টায় প্রায় ৮ সেন্টিমিটার পানি কমে এখনও বিপদসীমার ৫৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।'
একইসঙ্গে যমুনা নদীর কাজিপুর পয়েন্টেও প্রায় ৭-৮ সেন্টিমিটার পানি কমেছে। আগামী কয়েকদিন এভাবেই পানি কমা অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।
নদীতে পানি কমলেও এখনও সিরাজগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি। পানিবন্দী এলাকা থেকে এখনও পানি নামতে শুরু করেনি।
পানিবন্দী সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার বন্নি গ্রামের সুরাল সর্দার দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'প্রায় এক মাসের বেশি সময় ধরে আমরা পানিবন্দী হয়ে আছি। পুরো এলাকায় পানি, মাঝে ঘরটি কোনোরকমে দাড়িয়ে আছে। বন্যার পানি যেভাবে দ্রুতগতিতে বৃদ্ধি পেয়েছে, সেভাবে কমছে না। এখনও পানিবন্দী চরের পুরো এলাকা।'
পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্মকর্তা নাসির জানান, নদীতে পানি কমলেও পানিবন্দী এলাকা থেকে পানি নামতে আরও বেশ কিছুদিন সময় লাগবে।
এখন নদীতে পানি কমলেও তা বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নদীতে পানি স্বাভাবিক পর্যায়ে পৌঁছলে নিচু এলাকা থেকে পানি নামতে শুরু করবে বলেও জানান তিনি।
সিরাজগঞ্জের ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. আব্দুর রহিম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এ বছর এখন পর্যন্ত জেলার কাজিপুর, সিরাজগঞ্জ সদর, বেলকুচি, শাহজাদপুর ও চৌহালি উপজেলার ৩৫টি ইউনিয়নের প্রায় দেড় লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী হয়েছেন। এসব উপজেলার নিচু এলাকা পানিতে তলিয়ে গেলেও বাঁধের ভেতরে কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হননি।'
বন্যার ক্ষয়ক্ষতির পুরো রিপোর্ট এখনও পাওয়া যায়নি। পানি নামার পর বন্যার ক্ষয়ক্ষতির সঠিক রিপোর্ট পাওয়া যাবে। ক্ষয়ক্ষতির রিপোর্ট পাওয়ার পর পুনর্বাসনের কাজ শুরু হবে বলেও জানান তিনি।
Comments