সাতক্ষীরায় বজ্রপাতে ২ জনের মৃত্যু, আহত ৪

সাতক্ষীরা সদর ও দেবহাটা উপজেলায় পৃথক বজ্রপাতে ২ জন মারা গেছেন ও ৪ জন আহত হয়েছেন।
Lightning
স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

সাতক্ষীরা সদর ও দেবহাটা উপজেলায় পৃথক বজ্রপাতে ২ জন মারা গেছেন ও ৪ জন আহত হয়েছেন।

গতকাল সকাল ৮টার দিকে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার খেজুরডাঙ্গা বিলে ও রাত ৮টায় দেবহাটা উপজেলার নারকেলি বিলে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

মৃত ফারুক হোসেন (৪০) সাতক্ষীরা সদর উপজেলার খেজুরডাঙ্গা গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে। অপর মৃত আবদুল লতিফ (৫২) দেবহাটা উপজেলার নারিকেলি গ্রামের বাসিন্দা।

আহতরা হলেন, সাতক্ষীরা উপজেলার খেজুরডাঙ্গা গ্রামের ইরশাদ আলী (৩৫), মহিদুল মজিদ (৪০), জাহাঙ্গীর হোসেন (৫০) ও ঢাকার এক্সকেভেটর চালক হুমায়ুন কবির।

সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খেজুরডাঙ্গা গ্রামের মহিদুল মজিদ দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, খেজুরডাঙ্গা বিলে তাদের মাছের ঘেরে এক্সকেভেটর মেশিন দিয়ে মাটি কাটা হচ্ছিল। সেসময় তারা সেখানে দাঁড়িয়ে ছিলেন। হঠাৎ বৃষ্টি ও বজ্রপাত শুরু হলে তারা নিরাপদ স্থানে যাওয়ার আগেই বজ্রপাতে ফারুক মারা যান। এসময় তারা ৪ জন আহত হন।

লাবসা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল আলিম ডেইলি স্টারকে বলেন, 'মাছের ঘেরে মাটি কাটার সময় বজ্রপাতে ফারুক মারা যান ও আরও কয়েকজন আহত হন। আহতদের সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ফারুকের মরদেহ খেজুরডাঙ্গা গ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।'

অপরদিকে, গতকাল রাত ৮টার দিকে দেবহাটা উপজেলার নারিকেলি গ্রামের আবদুল লতিফ বজ্রপাতে মারা যান।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, লতিফ প্রতিদিনের ন্যায় সন্ধ্যায় বাড়ির পাশে পাতার বিলের মাছের ঘেরে চৌকিঘরে বসে ছিলেন। হঠাৎ বৃষ্টির পাশাপাশি তার চৌকিঘরে বজ্রপাত হলে তিনি ঘটনাস্থলে মারা যান।  

সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম কবির ও দেবহাটা থানার ওসি শেখ ওবায়দুল্লাহ বজ্রপাতে ২ জনের মৃত্যুর বিষয়টি ডেইলি স্টারকে নিশ্চিত করেছেন।

Comments

The Daily Star  | English

13 killed in bus-pickup collision in Faridpur

At least 13 people were killed and several others were injured in a head-on collision between a bus and a pick-up at Kanaipur area in Faridpur's Sadar upazila this morning

1h ago