আগাম বন্যায় সিলেট-সুনামগঞ্জে বন্ধ প্রায় ৯০০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

ধারাবাহিক বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলে সিলেট ও সুনামগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। এ অবস্থায় এই দুই জেলার শিক্ষা ব্যাপকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
সিলেটে আগাম বন্যায় জনভোগান্তি। ছবি: শেখ নাসির

ধারাবাহিক বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলে সিলেট ও সুনামগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। এ অবস্থায় এই দুই জেলার শিক্ষা ব্যাপকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।

দুই জেলায় মোট ৮৭৩টি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুল, মাদ্রাসা ও কলেজ বন্যা কবলিত হওয়ায় শিক্ষাদান কার্যক্রম সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে। এ ছাড়াও, আরও শতাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যেকোনো সময় বন্ধ হতে পারে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

সিলেট জেলায় বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে প্রায় সবকটি উপজেলায়। এর মধ্যে গোয়াইনঘাট, জকিগঞ্জ, কানাইঘাট, কোম্পানীগঞ্জ, সদর, বালাগঞ্জ, বিয়ানীবাজার, গোলাপগঞ্জ, জৈন্তাপুর ও দক্ষিণ সুরমা উপজেলায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হয়েছে।

সিলেট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয় ও জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যালয়ের তথ্যমতে, জেলায় মোট ৪১৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ১৮৫টি মাধ্যমিক, কলেজ ও মাদ্রাসা বন্যার কারণে বন্ধ রাখা হয়েছে। এর মধ্যে ২১৫টি প্রতিষ্ঠান বন্যার্তদের আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।

সুনামগঞ্জ জেলায় বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে দোয়ারাবাজার, ছাতক, বিশ্বম্ভরপুর ও তাহিরপুর উপজেলায়।

সুনামগঞ্জ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয় ও জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যালয়ের তথ্যমতে, এসব উপজেলায় মোট ২২০টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ৫০টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কলেজ ও মাদ্রাসা বন্ধ রয়েছে।

সিলেট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শাখাওয়াত এরশাদ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে আমাদের কার্যালয়ও বন্যা আক্রান্ত এবং মঙ্গলবার থেকে বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন। এ অবস্থার মধ্যেও সব প্রতিষ্ঠানের খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। প্রতিনিয়ত নতুন নতুন প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করতে হচ্ছে।'

সুনামগঞ্জ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এস এম আব্দুর রহমান বলেন, 'গতরাত থেকে বৃষ্টি শুরু হওয়ায় জেলায় বন্যা পরিস্থিতি আরও অবনতি হবে। এক্ষেত্রে শিক্ষাদান ব্যাপকভাবে ব্যাহত হবে।'

সিলেট জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবু সাঈদ মো. আবদুল ওয়াদুদ ডেইলি স্টারকে জানান, 'শুধুমাত্র শিক্ষা ব্যাহত নয়, বন্যায় জেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর অন্তত দেড় কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এবং ক্ষতির পরিমাণ ক্রমান্বয়ে বাড়ছে।'

সুনামগঞ্জ জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, 'জেলায় দোয়ারাবাজার ও ছাতক উপজেলা সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত। এ অবস্থায় পরিস্থিতি কবে স্বাভাবিক হবে, তা বলা যাচ্ছে না।'

Comments