স্বপদেই থাকছেন শিক্ষার্থীদের চুল কেটে দেওয়া ফারহানা বাতেন

ছাত্রদের চুল কেটে দেওয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ফারহানা ইয়াসমিন বাতেনকে ৩ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম ও প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকে বিরত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তবে, তিনি স্বপদে বহাল থাকছেন।
ফারহানা ইয়াসমিন বাতেন। ছবি: সংগৃহীত

ছাত্রদের চুল কেটে দেওয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ফারহানা ইয়াসমিন বাতেনকে ৩ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম ও প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকে বিরত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তবে, তিনি স্বপদে বহাল থাকছেন।

গত ২৬ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস সংস্কৃতি ও বাংলাদেশ স্টাডিজ বিভাগের ১৪ জন শিক্ষার্থীর মাথার চুল কেটে দেওয়ার ঘটনায় ওই বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র নাজমুল হোসেন তুহিন (২৫) ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে সিরাজগঞ্জের খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এই ঘটনার পরে অভিযুক্ত শিক্ষক ফারহানা ইয়াসমিন বাতেনের স্থায়ী বহিষ্কার দাবিতে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করেন। এতে করে ব্যাহত হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আশা করছে, তাদের নেওয়া সিদ্ধান্তে ২ মাসের বেশি সময় ধরে চলা বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থিতিশীল পরিস্থিতির অবসান হবে।

গতকাল রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শিক্ষক ফারহানা ইয়াসমিন বাতেনকে ২০১৭-১৮, ২০১৮-১৯ ও ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের সেশন শেষ না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষা কার্যক্রম ও প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. সোহরাব আলী দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট ও একাডেমিক কমিটির মতামতের ওপর ভিত্তি করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।'

এই ৩ শিক্ষাবর্ষের সময়কালে কার্যক্রম থেকে বিরত রাখা হলেও শিক্ষক ফারহানা ইয়াসমিন স্বপদে বহাল থাকবেন বলেও জানান তিনি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর রওশন আলম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে গত প্রায় ২ মাস ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম ব্যহত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসার পর দ্রুততম সময়ের মধ্যে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করা যাবে বলে আশা করছি।'

Comments

The Daily Star  | English

The war that we need to know so much more about

Our Liberation War is something we are proud to talk about, read about, and reminisce about but have not done much research on.

11h ago