সরকারবিরোধী স্লোগানে আন্দোলনকারীদের পেটাতে বললেন রাবির সহকারী প্রক্টর
সরকারবিরোধী স্লোগান প্ল্যাকার্ডে লেখায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের বিক্ষোভ মিছিল বন্ধ করে দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
আজ বুধবার ছাত্র ফেডারেশনের 'নিরাপদ সড়কের দাবিতে লাশের মিছিল' কর্মসূচি ছিল। পূর্বঘোষিত এই কর্মসূচিতে অংশ নিতে মহানগর ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতাকর্মীরা সকাল ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জোহা চত্বরে বিভিন্ন স্লোগান লেখা প্ল্যাকার্ড নিয়ে সমবেত হন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ছাত্র ফেডারেশনের নেতারা জোহা চত্বরে বক্তব্য দেওয়ার পর সহকারী প্রক্টর মোখলেছুর রহমান সেখানে গিয়ে কর্মসূচিতে বাধা দেন। প্ল্যাকার্ডে লেখা স্লোগান নিয়ে তিনি হুমকি দেন। এক পর্যায়ে তিনি সেখানে উপস্থিত ছাত্রলীগ নেতাকে বলেন, 'তোমরা কী করো, কী করো তোমরা, শোয়ায়ে দিবা একেবারে'।
এরপর বেলা ১২টার দিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ছাত্র ফেডারেশনের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক মহব্বত হোসেন মিলনকে প্রক্টরের অফিসে ডেকে নেওয়া হয়।
ছাত্র ফেডারেশনের রাজশাহী মহানগর শাখার আহ্বায়ক জিন্নাত আরা অভিযোগ করে বলেন, আমাদের কর্মসূচি পণ্ড হবার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সহকারী প্রক্টর কয়েকজনকে লক্ষ্য করে আমাদেরকে মারতে বলেন।
অভিযোগে ব্যাপারে জানতে চাইলে সহকারী প্রক্টর মোখলেছুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, বিজয়ের মাসে সরকার কিংবা প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে আপত্তিকর কথাবার্তা মেনে নেওয়া যায় না। এ কারণে আমরা তাদের হাত থেকে প্রধানমন্ত্রীকে কটুক্তিমূলক প্ল্যাকার্ড নিয়ে নিই এবং দ্রুত কর্মসূচি শেষ করে স্থান ত্যাগ করতে বলি। এ সময় তাদের কয়েকজন আমাদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়ায়।
আন্দোলনকারীদের পেটাতে ছাত্রলীগের নেতাকে নির্দেশ দেওয়ার ব্যাপারে তিনি বলেন, 'আমি নির্দিষ্ট কাউকে উদ্দেশ্য করে কথাটি বলিনি। দেশের সরকারকে নিয়ে মানহানিকর বক্তব্য ছড়ালে তো সবারই প্রতিবাদ করা উচিত।'
এর জন্য কাউকে মারতে বলতে পারেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'সত্যিকার অর্থে কাউকে মারার জন্য কথাটা বলতে চাইনি। এছাড়া প্রক্টরিয়াল বডির সদস্য হিসেবে হয়তো আমার এই কথাটাও বলা উচিত হয়নি। তবে সাধারণ নাগরিক হিসেবে প্রতিবাদ করতে বলা যেতেই পারে।'
এর আগে গতকাল সন্ধ্যায় সারা দেশে গণপরিবহনে শিক্ষার্থীদের অর্ধেক ভাড়া নিশ্চিত ও যাত্রী হয়রানির প্রতিবাদে মশাল মিছিল ও সমাবেশ করে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা।
Comments