জাবির ভর্তি পরীক্ষায় কমছে সময় ও প্রশ্নের মানবণ্টন
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের আসন্ন স্নাতক ভর্তি পরীক্ষায় সময় ও প্রশ্নের মানবণ্টনে পরিবর্তন এসেছে। পরীক্ষার্থীদের ৪৫ মিনিটে দিতে হবে ৬০টি প্রশ্নের উত্তর। প্রতিটি প্রশ্নের মান ১ ধরে ৬০ নম্বরকে আবার ৮০ নম্বরে রূপান্তর করা হবে।
আগে, প্রতিটি প্রশ্নের মান ১ ধরে পরীক্ষার্থীদের ৬০ মিনিটে ৮০টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হতো। তবে, ৮০ নম্বরের সঙ্গে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের প্রাপ্ত ফলাফলের ওপর ২০ নম্বর যোগের বিষয়টি অপরিবর্তিত আছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষা পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব মো. আবু হাসান দ্য ডেইলি স্টারকে এ সব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
করোনা মহামারিতে স্বাস্থ্য নির্দেশনা মেনে চলতে গিয়ে এবার সময় ও প্রশ্ন কমানো হয়েছে বলে দাবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের।
মো. আবু হাসান বলেন, 'ভর্তিচ্ছুরা যেন স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষার হল থেকে বের হতে পারেন, সে জন্য প্রশ্নের পরিমাণ কমিয়ে এনে মাঝের বিরতির সময় বাড়ানো হয়েছে। প্রতি বেঞ্চে ২ জন করে বসানো হবে। এছাড়া বিভিন্ন বয়সের শিক্ষকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথাও বিবেচনায় রাখা হয়েছে।'
তিনি জানান, ৪৫ মিনিট পরীক্ষার সময় হলেও মূলত ৫ মিনিট রাখা হয় শিক্ষার্থীদের ওএমআর পূরণ করার জন্য। সে হিসেবে তারা পাবেন ৪০ মিনিট। এ সময়ের মধ্যেই তাদের ৬০টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে।
তবে আগাম 'নির্দেশনা ছাড়াই' ভর্তি পরীক্ষায় মানবণ্টনে এমন পরিবর্তনে 'অস্বস্তিতে' পড়েছেন ভর্তিচ্ছু পরীক্ষার্থীরা। এদিকে জাবিতে দ্বিতীয়বার পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পাওয়া শিক্ষার্থীরা কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন বলে মনে করছেন অনেকে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী এম এইচ লালন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'অটোপাশের জন্য ফার্স্ট টাইমারদের প্রায় সবারই ভাল জিপিএ আছে। সেক্ষেত্রে ২ বছরের বেশি সময় প্রস্তুতি নিয়ে আসা সেকেন্ড টাইমাররা পিছিয়ে যাবে। অন্য কোথাও সেকেন্ড টাইম না থাকায় এই সমস্যাটি শুধু জাবির ক্ষেত্রেই হবে।'
শেখ মোহাম্মদ ওমর নামের এক ভর্তিচ্ছু বলেন, 'আমরা দীর্ঘদিন ধরে একটি প্রশ্নের মানবণ্টন ও সময়ের কথা চিন্তা করে প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। কিন্তু একদম আগ মুহূর্তে এসে জানতে পারলাম যে সবকিছু পরিবর্তন হচ্ছে। এটি আসলে আমাদের কাছে অস্বস্তির। এত কম সময়ের মধ্যে অনেক প্রশ্নের উত্তর দেওয়া কিছুটা জটিল মনে হচ্ছে। আগে থেকে জানতে পারলে আমাদের জন্য ভালো হতো।'
আগামী ৭ নভেম্বর 'এ' ইউনিটের অধীনে গাণিতিক ও পদার্থবিষয়ক অনুষদ দিয়ে পরীক্ষা শুরু হয়ে ১৮ নভেম্বর 'সি' ইউনিটের অধীনে কলা ও মানবিকী অনুষদের মাধ্যমে শেষ হবে।
প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা যায়, দিনে ৫ ধাপে ভাগ করে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপ শুরু হবে সকাল ৯টা থেকে ৯টা ৪৫, দ্বিতীয় ধাপ সাড়ে ১০টা থেকে সোয়া ১১টা, তৃতীয় ধাপ ১২টা থেকে ১২টা ৪৫, চতুর্থ ধাপ ১টা ৪৫ থেকে ২টা ৩০ ও পঞ্চম ধাপ হবে ৩টা ১৫ থেকে ৪টা পর্যন্ত।
এ বছর মোট ৯টি ইউনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ হাজার ৮৮৯টি আসনের বিপরীতে পরীক্ষায় অংশ নেবে মোট ৩ লাখ ৮ হাজার ৬০৬ জন। অর্থাৎ, প্রতি আসনের বিপরীতে ১৬৩ জন পরীক্ষা দেবেন।
Comments