চুল কেটে দেওয়ার অপমানে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর আত্মহত্যার চেষ্টা
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে চুল কেটে দেওয়ার অপমানে এক শিক্ষার্থী আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। এর প্রতিবাদে এবং চুল কেটে দেওয়ার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা বর্জন করে আন্দোলনে নেমেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
আজ মঙ্গলবার সকাল থেকেই পরীক্ষা বর্জন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে বিক্ষোভ শুরু করে তারা।
এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস সংস্কৃতি ও বাংলাদেশ স্টাডিজ বিভাগের ১৩ থেকে ১৪ জন ছাত্রের মাথার চুল কেটে দেওয়ার ঘটনায় গতকাল রাতে বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র নাজমুল হোসেন তুহিন (২৫) ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে।
গুরুতর অবস্থায় তাকে সিরাজগঞ্জের খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার অবস্থা এখনও সংকটাপন্ন।
এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইনাল পরীক্ষার চতুর্থ দিনে পরীক্ষা বর্জন করে। এ সময় তারা ইতিহাস সংস্কৃতি ও বাংলাদেশ স্টাডিজ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ফারহানা ইয়াসমিন বাতেনের অপসারণ দাবি করেন।
ইতিহাস সংস্কৃতি ও বাংলাদেশ স্টাডিজ বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী মো. জাকারিয়া দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, '২৫ তারিখ থেকে আমাদের ফাইনাল পরীক্ষা শুরু হয়েছে। টানা ৭ দিন পরীক্ষার রুটিন দেওয়া হয়। এ ঘটনায় বিভাগের কয়েকজন শিক্ষার্থী প্রতিবাদ জানালে ক্ষুব্ধ হন বিভাগীয় প্রধান।'
'দ্বিতীয় দিনের পরীক্ষা দিতে গেলে বিভাগীয় প্রধানের নির্দেশে প্রথম বর্ষের ১৩ থেকে ১৪ জন ছাত্রের মাথার চুলের সামনের অংশ কেটে দেওয়া হয়। প্রতিবাদ করতে গেলে তুহিনসহ আমাদের কয়েকজনকে নানাভাবে পরীক্ষা নিয়ে হুমকি দেওয়া হয়।'
'অপমান সইতে না পেরে তুহিন আত্মহত্যার চেষ্টা করে। সে এখনও মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে।'
একই বিভাগের শিক্ষার্থী তামান্না দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়য়ের সব শিক্ষার্থী অপমানিত হয়েছে এবং আহত হয়েছে। আমরা এ ঘটনার প্রতিবাদে এবং ওই বিভাগীয় প্রধানের অপসারণের দাবিতে পরীক্ষা না দিয়ে আন্দোলন করেছি।'
এ ব্যাপারে মন্তব্য জানতে ইতিহাস সংস্কৃতি ও বাংলাদেশ স্টাডিজ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ফারহানা ইয়াসমিন বাতেনের ফোনে বেশ কয়েকবার কল করা হলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।
রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুল লতিফ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এ ঘটনায় শিক্ষার্থীরা লিখিত অভিযোগ দিলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পরবর্তী ব্যবস্থা নেবে। পরীক্ষা বন্ধ করে আন্দোলন করায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে তদন্ত করা হবে।'
Comments