‘সরকারি চাকরিতে বয়স বাড়ানোর পরিকল্পনা আপাতত নেই’
সরকারি চাকরিতে বয়স বাড়ানোর পরিকল্পনা আপাতত নেই বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
আজ মঙ্গলবার বিএনপি'র সংসদ সদস্য মোশাররফ হোসেনের প্রশ্নের জবাবে জাতীয় সংসদে তিনি এ তথ্য জানান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগে বিশ্ববিদ্যালয়সহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোয় দীর্ঘ সেশনজট থাকলেও বর্তমানে সেশনজট নেই বললেই চলে। শিক্ষার্থীরা সাধারণত ১৬ বছরে এসএসসি, ১৮ বছরে এইচএসসি, ২৩ থেকে ২৪ বছরে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করে থাকে।
তিনি আরও বলেন, সাধারণ প্রার্থীদের জন্য চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩০ বছর থাকায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের পর তারা আবেদনের জন্যে ৬ থেকে ৭ বছর সময় পান।
এ ছাড়া, ৩০ বছর বয়সসীমার মধ্যে কেউ চাকরির জন্য আবেদন করলে নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ হতে ২/১ বছর সময় লাগলেও তা হিসাব করা হয় না।
প্রতিমন্ত্রী জানান, সম্প্রতি চাকরি থেকে অবসরের বয়সসীমা ৫৭ হতে ৫৯ বছরে উন্নীত হওয়ায় বর্তমানে শূন্য পদের সংখ্যা স্বাভাবিকভাবেই কমেছে। এই প্রেক্ষাপটে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানো হলে নানা পদের বিপরীতে চাকরিপ্রার্থীদের সংখ্যা অনেক বেড়ে যাবে। ফলে নিয়োগের ক্ষেত্রে বেশি প্রতিযোগিতার সৃষ্টি হতে পারে।
'এতে করে যাদের বয়স বর্তমানে ৩০ বছরের বেশি তারা চাকরিতে আবেদন করার সুযোগ পেলেও ৩০ বছরের কম বয়সী প্রার্থীদের মধ্যে হতাশার সৃষ্টি হতে পারে' উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, 'এ কারণে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনা আপাতত সরকারের নেই।'
Comments