গজ কাপড়ের বাজার ও টেইলরের খোঁজ

বছর ঘুরে চাঁদের পালকি চড়ে আবার আসছে ঈদ। তাই জামা-কাপড় তৈরির প্রস্তুতিও শুরু হয়ে গেছে। রোজার ঈদের মূল আকর্ষণ থাকে জামাকাপড়ে। কে কী কিনবে বা বানাবে তা নিয়ে ভাবনা শুরু হয় রোজার প্রথম দিক থেকেই। 
ছবি: সংগৃহীত

বছর ঘুরে চাঁদের পালকি চড়ে আবার আসছে ঈদ। তাই জামা-কাপড় তৈরির প্রস্তুতিও শুরু হয়ে গেছে। রোজার ঈদের মূল আকর্ষণ থাকে জামাকাপড়ে। কে কী কিনবে বা বানাবে তা নিয়ে ভাবনা শুরু হয় রোজার প্রথম দিক থেকেই। 

রোজার ঈদে বিপণি-বিতানগুলোতে বিভিন্ন শিরোনামসহ পোশাক দেখা যায়। আর ট্রেন্ড অনুযায়ী এসব পোশাকের চাহিদা থাকে অনেক। তবে অনেকেই রেডিমেড পোশাকের চেয়ে টেইলর থেকে বানিয়ে নেওয়া পোশাকে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। 

ঈদে গজ কাপড় কিনে বিশেষ কোনো ডিজাইনের জামা তৈরি করে পরবার আনন্দ অন্যরকম।
তাই এবারের আয়োজন গজ কাপড় ও টেইলর নিয়ে।

রোজার ঈদে অনেকেই নিজ নিজ পছন্দের টেইলরের দোকান থেকে জামা বানিয়ে নেন। তবে বছরের অন্যান্য সময় থেকে এই সময়ে টেইলরের দোকানে থাকে প্রচুর কাপড় তৈরির চাপ। তাই যত দ্রুত সম্ভব ঈদের জামা তৈরির জন্য টেইলরের কাছে দিয়ে আসতে পারলে ভালো। নিজের পছন্দের টেইলরের কাছে জামা বানাতে দেওয়ার ইচ্ছা থাকে অনেকের। তবে ঈদের সময় দেখা যায় অতিরিক্ত কাজের চাপে নতুন কাজ আর নিতে চায় না টেইলরা। সেক্ষেত্রে পরিচিত কোনো টেইলরের কাছে বানাতে দিতে পারেন আপনার কাপড়। 

ঢাকার নিউমার্কেট, চন্দ্রিমা সুপার মার্কেট, প্রিয়াঙ্গন মার্কেট, মৌচাক মার্কেট- এইগুলো হলো টেইলর হাব। এক্সেপশনাল যেকোনো জামা তৈরির ক্ষেত্রে এ সব মার্কেটের টেইলরই হতে পারে আপনার সহায়ক। 

এ ছাড়া এখন অনলাইনেও অনেক টেইলর পেইজ পাওয়া যাচ্ছে। সেখানে যোগাযোগ করে আপনি স্বাচ্ছন্দ্যে তৈরি করে নিতে পারবেন আপনার ঈদের জামাটি।

ঈদে নিজের পছন্দের ডিজাইনে তৈরি গজ কাপড়ের জামা পরতে চাইলে আজই কাপড়টা কিনে ফেলুন। তা না হলে একটু দেরি হয়ে যাবে বৈকি। সব ধরনের গজ কাপড়ের জন্য যেতে পারেন ঢাকার গাউছিয়া ও চাঁদনী চক মার্কেটে। এই জায়গাগুলোতে হেন কোরো কাপড় নেই যা খুঁজে পাবেন না। এ ছাড়া একটু অল্প দামে সুন্দর কাপড় কেনার জন্য ইসলামপুরে চলে যেতে পারেন।
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় গজ কাপড়ের বাজার ইসলামপুর। এখানে যে কোনো কাপড় পেয়ে যাবেন বেশ অল্প দামে। ঈদ উপলক্ষে বাজারে হরেক রকমের কাপড়ের কালেকশন এসেছে। যেমন-

সিক্যুয়েন্স ও ডলারের কাজের নতুন কালেকশন এসেছে যার নামকরণ করা হয়েছে পুষ্পা। ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা ডিজাইনের ৫ থেকে ১৫টি রঙে পাওয়া যাচ্ছে।

  • মুঘল আমলের মোটিফে এমব্রয়ডারি করা নেট কাপড় ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা।
  • বাহুবলি কাপড়ের গজ ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা।
  • গুজরাটি কাপড় নামকরণ হয়েছে সুলতান। এর প্রতি গজ ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা।
  • মখমলে এমব্রয়ডারি করা কাপড় প্রতি গজ ৫০০ টাকা।
  • চিকেন কাপড় প্রতি গজ ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা।
  • মসলিন টিস্যু কাপড় প্রতি গজ ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা।
  • মসলিন প্রিন্টের কাপড় প্রতি গজ ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা।
  • ঝুল নেট প্রতি গজ ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা।
  • গোটাপাতি কাপড় প্রতি গজ ৫০০ টাকা।
  • ডেকোট নেট কাপড় প্রতি গজ ৬০০ টাকা।
  • সিকোয়েন্স নেট কাপড় প্রতি গজ ৩০০ টাকা।
  • লিনেন কাপড় প্রতি গজ ১৫০ টাকা।
  • চেরি কাপড় প্রতি গজ ১৮০ টাকা।
  • সামু সিল্ক প্রতি গজ ১৮০ টাকা।
  •  লন লিনেন প্রতি গজ ২০০ টাকা।
  • বারিশ জর্জেট প্রতি গজ ২০০ টাকা।
  • কোটা কটন প্রতি গজ ২০০ টাকা।
  • ভেলভেট সিকুয়েন্স প্রতি গজ ৪০০ টাকা।
  • মাল্টি সিকুয়েন্স নেট প্রতি গজ ৪০০ টাকা। 
  • এক কালার ভেলভেট প্রতি গজ ৩০০ টাকা।
  • সফট সিল্ক প্রতি গজ ১৫০ টাকা।
  • বাটারফ্লাই প্রতি গজ ৫০ টাকা।
  • ইন্ডিয়ান ক্যানক্যান প্রতি গজ ১৫০ টাকা।
  • দেশি ক্যানক্যান প্রতি গজ ৬০ টাকা।

এ ছাড়া গাউছিয়া মার্কেটের সংলগ্ন সুভাস্তু অ্যারোমা টাওয়ার মার্কেটের সামনে রাস্তার পাশে গড়ে উঠেছে লম্বা এক কাপড়ের বাজার। প্রথমদিকে এখানে শুধু টুকরো কাপড় পাওয়া যেত কিন্তু এখন প্রচুর গজ কাপড় পাওয়া যায়। যারা একটু কম খরচে সাধ্যের মধ্যে নতুন কাপড় কিনতে চান তারা এই বিশাল রোডসাইড গজ কাপড়ের দোকানে ঢুঁ মারতে পারেন। এখানে ১০০ থেকে ৩০০ টাকা দরে বিভিন্ন ধরনের গজ কাপড় পাওয়া যায়।

 

Comments

The Daily Star  | English

Trade at centre stage between Dhaka, Doha

Looking to diversify trade and investments in a changed geopolitical atmosphere, Qatar and Bangladesh yesterday signed 10 deals, including agreements on cooperation on ports, and manpower employment and welfare.

1h ago