চোখের যত্নে সতর্কতা

দৈনন্দিন জীবনে নানা ছোটখাটো সমস্যা থেকে চোখ ভালো রাখতে প্রয়োজন একটু সচেতনতা ও সতর্কতা। চোখের কোনো সমস্যায় অবহেলা করা যাবে না। তাহলেই চোখের স্বাস্থ্য ভালো থাকবে।

দৈনন্দিন জীবনে নানা ছোটখাটো সমস্যা থেকে চোখ ভালো রাখতে প্রয়োজন একটু সচেতনতা ও সতর্কতা। চোখের কোনো সমস্যায় অবহেলা করা যাবে না। তাহলেই চোখের স্বাস্থ্য ভালো থাকবে।

চোখ ভালো রাখার জন্য চোখের রুটিন চেকআপ করানো উচিত। কারণ চোখের এমন বহু সমস্যা আছে যেগুলো আগে থেকে বোঝা যায় না। সমস্যা ঠিক সময়ে ধরা পড়লে চিকিৎসায় সুবিধা হয়। এ ছাড়া চোখের পাওয়ারও চেক করে নেওয়া ভালো। ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে চশমা ব্যবহার করুন।

অনেকেরই অভ্যাস থাকে কারণে-অকারণে চোখে হাত দেওয়া বা চোখ ডলা, ঘষা। হাতে অনেক ধরনের জীবাণু লেগে থাকতে পারে, তাই হাত অকারণে চোখে না দেওয়াই উত্তম। প্রয়োজনে পাতলা রুমাল ব্যবহার করুন।

সানগ্লাস ব্যবহার করুন রোদে। এতে সূর্যের ক্ষতিকর ইউভি রশ্মির হাত থেকে চোখ বাঁচিয়ে চোখকে আরাম দেয়। গরমকালে সানগ্লাসের পাশাপাশি ছাতাও ব্যবহার করুন।

দীর্ঘক্ষণ ধরে কম্পিউটারের সামনে কাজ করলে চোখে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। চেষ্টা করুন কম্পিউটারের উচ্চতা আই লেভেলের চেয়ে নিচে রাখতে। এর ফলে কম্পিউটারে কাজ করতে হলে আপনি নিচের দিকে তাকিয়ে কাজ করবেন। ফলে আপনার আইলিভ কর্নিয়ার বেশিরভাগ অংশ ঢেকে রাখবে, যা চোখকে আরাম দেয় এবং সহজে শুষ্ক হতে দেয় না। এ ছাড়াও কাজ করার সময় কম্পিউটারের ব্রাইটনেস কমিয়ে রেখে কাজ করুন। একটানা কাজ না করে একটু গ্যাপ দিন।

চোখে হঠাৎ কিছু পড়লে সঙ্গে সঙ্গে পরিষ্কার পানিতে চোখ ধুয়ে নিন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পানি দিয়ে ধুলেই চোখে কিছু থাকলে তা বেরিয়ে যায়। যদি ধোয়ার পরও কোনো কারণে কিছু আটকে থাকে, তাহলে অবশ্যই ডাক্তার দেখান।

মূলত ভিটামিন ‘এ’-এর ঘাটতির জন্য শিশুদের মধ্যে রাতকানা রোগ দেখা দেয়। এই রোগ থেকে রক্ষা পেতে ভিটামিন ‘এ’ যুক্ত খাবার বেশি করে খাওয়া উচিত। সমস্যা না কাটলে ভিটামিন ‘এ’ সাপ্লিমেন্টস, অয়েল, ইনজেকশন ইত্যাদি দেওয়া হয়। জন্মগত রেটিনার সমস্যা থেকে রাতকানা রোগ হতে পারে।

চোখের জন্য আলাদা করে কোনো ডায়েট হয় না। সুষম আহার যা আমাদের সুস্থ রাখতে এবং বৃদ্ধিতে সাহায্য করে, তা চোখকেও ভালো রাখে। খেয়াল রাখুন ডায়েটে যেন ভিটামিন ‘এ’ এবং ভিটামিন ‘সি’ যুক্ত খাবার থাকে। এ ধরনের খাবার আমাদের চোখের রেটিনা ও কর্নিয়াকে ভালো রাখার জন্য প্রয়োজন।

অনেকেই চশমার পরিবর্তে লেন্স পরেন। কালার লেন্সও স্টাইল করে পরে থাকেন। লেন্স পরার সময় ভালোভাবে হাত ধুতে হবে। লেন্স পরার আগে ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিন। একটানা বেশিক্ষণ লেন্স পরে থাকা উচিত নয়। লেন্স পরে ঘুমানো নিষেধ। নির্দিষ্ট সময় পর লেন্স বদল করুন।

চোখের মেকআপ নানারকম হয়, স্মোকি আইজ, ন্যুড মেকআপ, কালারড আইজ, মেটালিক আইজ ইত্যাদি। ছোট-বড় যেকোনো চোখেই সবরকম মেকআপ করা সম্ভব। মেকআপ যা-ই করুন না কেন, মেকআপ তুলে তারপরই ঘুমাবেন। শুধু কাজল দিলেও তা পরিষ্কার করবেন।

একটা বাটিতে গোলাপজল নিয়ে ফ্রিজে রাখুন। দিনে দুবার ঠাণ্ডা গোলাপজলে তুলো ভিজিয়ে চোখের চারপাশে মুছে নিন। চোখ ফ্রেশ লাগবে।

চোখ আমাদের খুব জরুরি অঙ্গ। চোখের সঠিকভাবে যত্ন নিন। চোখের কোনো সমস্যা অবহেলা করবেন না। চোখ সুস্থ রাখুন।

Comments

The Daily Star  | English

An April way hotter than 30-year average

Over the last seven days, temperatures in the capital and other heatwave-affected places have been consistently four to five degrees Celsius higher than the corresponding seven days in the last 30 years, according to Met department data.

7h ago