বাংলাদেশের হতাশার সেশন, ম্যাথিউস-চান্দিমালের ব্যাটে শ্রীলঙ্কার লিড  

এই সেশনে ৩৩ ওভার ব্যাট করে ৮৭ রান তুলে কোন উইকেটই হারায়নি তারা। বাংলাদেশের ৩৬৫ রানের জবাবে শ্রীলঙ্কার স্কোর ৫ উইকেটে ৩৬৯। 
Angelo Mathews & Dinesh Chandimal
দারুণ জুটিতে ম্যাথিউস-চান্দিমাল। ছবি: ফিরোজ আহমেদ

আগের দিন সাকিব আল হাসানের বোলিং ছাড়া বাকিটা ছিল বিবর্ণ। এদিন সাকিবও তেমন চাপ তৈরি করতে পারলেন না, বাকিরা আগের মতই থাকলেন সাদামাটা। শ্রীলঙ্কান দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস আর দীনেশ চান্দিমাল খেলতে থাকলেন সাবলীল গতিতে। আড়াইঘন্টার প্রথম সেশনে বাংলাদেশের সঙ্গী হলো কেবল হতাশা। 

বৃহস্পতিবার ৪ রানের লিড নিয়ে চতুর্থ দিনের লাঞ্চ বিরতিতে গিয়েছে শ্রীলঙ্কা। এই সেশনে ৩৩ ওভার ব্যাট করে ৮৭ রান তুলে কোন উইকেটই হারায়নি তারা। বাংলাদেশের ৩৬৫ রানের জবাবে শ্রীলঙ্কার স্কোর ৫ উইকেটে ৩৬৯। 

বাকি সময়টায় বাংলাদেশের উপর লিড বাড়িয়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পথে সফরকারীরা। চোয়ালবদ্ধ দৃঢ়তায় দলকে টেনে ২৪৬ বলে ৯৩ রান করে ক্রিজে আছেন ম্যাথিউস। ১৬১ বলে ৬১ রান করে তার সঙ্গী চান্দিমাল। ৬ষ্ঠ উইকেটে এই দুজনের জুটিতে এসে গেছে ১০৩ রান। 

৫ উইকেটে ২৮২ রান নিয়ে খেলতে নেমে অনায়াসে চলে লঙ্কানদের পথ চলা। কোন রকম ঝুঁকি না নিয়ে এগুতে থাকেন ম্যাথিউস-চান্দিমাল। রান বের করতে আলগা বলের জন্য অপেক্ষা করেছেন তারা, সেসব বল এলেই তা নির্দ্বিধায় কাজে লাগিয়েছেন। 

বাংলাদেশের বোলাররা আঁটসাঁট বল করে রান আটকে রাখার চেষ্টা করলে অস্থির হননি তারা। মন দেন উইকেটে সময় কাটানোর দিকে। ঋদ্ধ অভিজ্ঞতায় ছোটখাটো ঝাপটা সামাল দেন অনায়াসে। 

পুরো সেশনে তৈরি হয়নি তেমন কোন সুযোগ। মুমিনুল হক বল হাতে নিয়ে দারুণ টার্নে পরাস্ত করেছিলেন চান্দিমালকে। আম্পায়ার কট বিহাইন্ডের আউট দিলে দ্রুত রিভিউ নেন চান্দিমাল। দেখা যায় বল লাগেনি ব্যাটে। সামান্য এক মুহূর্তের আনন্দ নিভে যাওয়ার পর আবার হতাশার সময়। 

তৃতীয় দিন বাংলাদেশকে কিছুটা আনন্দের সময় দিয়েছিলেন সাকিব। এদিন বল হাতে নিয়ে আর সেই ধার ধরে রাখতে পারেননি বাংলাদেশের শীর্ষ তারকা। আগের দিন ইবাদত হোসেনও দেখিয়েছিলেন ঝাঁজ, ম্যাচের আয়ু বাড়তে তার আগ্রাসণও কমেছে। খালেদ আহমেদ দু'একটি বল ছাড়া ব্যাটসম্যানের তেমন কোন পরীক্ষায় ফেলতে পারেননি। টানা বল করে গেছেন তাইজুল ইসলাম। তবে এই বাঁহাতি স্পিনারের বলেও উইকেট নেওয়ারর পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। 

স্পেশালিস্ট অফ স্পিনার হিসেবে খেলা মোসাদ্দেক হোসেন ম্যাচের দ্বিতীয় দিনের বিকেলে দুই ওভার বল করেছিলেন। তৃতীয় দিনে একবারও বোলিং পাননি। চতুর্থ দিনের সকালে তাকে স্রেফ এক ওভার বল দেন মুমিনুল। পরে  তিনি নিজে এসে হাত ঘুরিয়েও তিন ওভার বল করেছেন। কাজ হয়নি কিছুতেই। 

 

Comments

The Daily Star  | English
Depositors money in merged banks

Depositors’ money in merged banks will remain completely safe: BB

Accountholders of merged banks will be able to maintain their respective accounts as before

5h ago