চার বছর পর টেস্টে সাকিবের ৫ উইকেট

সবশেষ ২০১৮ সালের জুলাইতে লাল বলের ক্রিকেটে ৫ উইকেট শিকার করেছিলেন সাকিব।
ছবি: ফিরোজ আহমেদ

টার্ন ও বাড়তি বাউন্সে পরাস্ত হলেন শ্রীলঙ্কার প্রভিন জয়াবিক্রমা। দশ নম্বরে নামা এই ব্যাটারের গ্লাভস ছুঁয়ে বল গেল উইকেটের পেছনে। দ্বিতীয়বারের চেষ্টায় বল লুফে নিলেন উইকেটরক্ষক লিটন দাস। তাতেই ইনিংসে ৫ উইকেট পূরণ হয়ে গেল সাকিব আল হাসানের। প্রায় চার বছর পর টেস্টে এই স্বাদ নিলেন বাংলাদেশের তারকা অলরাউন্ডার।

বৃহস্পতিবার মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে ম্যাচের চতুর্থ দিনের চা বিরতির পর সাকিবের ৫ উইকেট পূরণ হয়। জয়াবিক্রমাকে সাজঘরে পাঠানোর কয়েক ওভার আগে নিরোশান ডিকভেলাকে বিদায় করেন এই বাঁহাতি স্পিনার। তিনিও লিটনের গ্লাভসবন্দি হয়ে মাঠ ছাড়েন। এর আগে দ্বিতীয় দিনে কুসল মেন্ডিস এবং তৃতীয় দিনে দিমুথ করুনারত্নে ও ধনঞ্জয়া ডি সিলভাকে আউট করেছিলেন সাকিব। এর মধ্যে লঙ্কান অধিনায়ক করুনারত্নের স্টাম্প উড়িয়ে দেওয়া ডেলিভারিটি ছিল তার ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা।

সাদা পোশাকের ক্রিকেটে এই নিয়ে ১৯তম বারের মতো ইনিংসে ৫ উইকেটে শিকার করলেন সাকিব। দেশের মাটিতে নিলেন ১৫তম বারের মতো, বাকি পাঁচবার নিয়েছেন বিদেশের মাটিতে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এটি তার তৃতীয় ৫ উইকেট।

সবশেষ ২০১৮ সালের জুলাইতে ক্রিকেটের লাল বলের সংস্করণে ৫ উইকেট শিকার করেছিলেন সাকিব। কিংস্টনে অনুষ্ঠিত ওই টেস্টে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। টাইগাররা শেষ পর্যন্ত হেরে গেলেও ক্যারিবিয়ানদের দ্বিতীয় ইনিংসে সাকিবের বোলিং ফিগার ছিল নজরকাড়া। মাত্র ৩৩ রান খরচায় তিনি পেয়েছিলেন ৬ উইকেট।

দেশের মাটিতে খেলা টেস্টে সাকিবের ৫ উইকেট নেওয়ার ঘটনা আরও আগের। ২০১৭ সালের অগাস্টে মিরপুরেই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক প্রথম জয়ে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান ছিল তার। ব্যাট হাতে মোট ৮৯ রানের পাশাপাশি জোড়া ৫ উইকেট দখল করেছিলেন তিনি। প্রথম ইনিংসে ৬৮ রানে ৫ উইকেট নেওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসে ৮৫ রানে ৫ উইকেট নিয়ে জিতেছিলেন ম্যাচসেরার পুরস্কার।

বাংলাদেশকে হতাশায় পুড়িয়ে শ্রীলঙ্কা চা বিরতিতে গিয়েছিল ৫ উইকেটে ৪৫৯ রান নিয়ে। এরপর তৃতীয় সেশনের শুরুতে সাকিব ও ইবাদত হোসেন একসঙ্গে জ্বলে ওঠায় ৫০৬ রানে থামে তারা। অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস ও দিনেশ চান্দিমালের ১৯৯ রানের জুটির ইতি ঘটলে হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ে তাদের ইনিংস। তবে ১৪১ রানের বড় লিড নিয়ে সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে সফরকারীরা।

৪০.১ ওভারে ৫ উইকেট নিতে সাকিব দেন ৯৬ রান। দেশের মাটিতে নিজের সেরা বোলিং উপহার দেওয়া পেসার ইবাদত নেন ৪ উইকেট। ৩৮ ওভারে তার খরচা ১৪৮ রান। আসিথা ফার্নান্দো রানআউট হন শেষ ব্যাটার হিসেবে। ম্যাথিউস ১৪৫ রানে অপরাজিত থেকে যান। চান্দিমালের ব্যাট থেকে আসে ১২৪ রান।

Comments

The Daily Star  | English

Cuet students suspend protests

Say authorities assured them of meeting their major demands

2h ago