ছয় শূন্যের ইনিংসে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড বাংলাদেশের

ছয় ব্যাটার শূন্য রানে সাজঘরে ফেরার ইনিংসে সর্বোচ্চ দলীয় পুঁজি পেল টাইগাররা।
ছবি: ফিরোজ আহমেদ

টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে প্রথম দল হিসেবে এক ইনিংসে ছয়টি শূন্যের নজির দুবার গড়ল বাংলাদেশ। বিব্রতকর এই অভিজ্ঞতার পাশাপাশি আরও একটি রেকর্ড নিজেদের করে নিল টাইগাররা। ছয় ব্যাটার শূন্য রানে সাজঘরে ফেরার ইনিংসে সর্বোচ্চ দলীয় পুঁজি পেল তারা।

মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে দুই বিশ্বরেকর্ড গড়েছে বাংলাদেশ। মঙ্গলবার সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় দিনে মধ্যাহ্ন বিরতির পর ইবাদত হোসেন রান আউটে কাটা পড়লে স্বাগতিকরা থামে ৩৬৫ রানে। ইনিংসের ষষ্ঠ ব্যাটার হিসেবে শূন্য রানে বিদায় নেন ১১ নম্বরে নামা ইবাদত।

প্রায় ২০ বছর আগে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের ছয় ব্যাটার রানের খাতা খুলতে ব্যর্থ হয়েছিলেন। ২০০২ সালের ওই টেস্টে তাদের প্রতিপক্ষ ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। জারমেইন লসনের তোপে দ্বিতীয় ইনিংসে তারা করতে পেরেছিল মাত্র ৮৭ রান। মড়কের শুরুটা হয়েছিল মোহাম্মদ আশরাফুলকে দিয়ে। এরপর একে একে খালেদ মাসুদ, অলক কাপালি, এনামুল হক মণি, তাপস বৈশ্য ও তালহা জুবায়ের করেছিলেন শূন্য।

ছবি: ফিরোজ আহমেদ

এবার লঙ্কানদের বিপক্ষে মাহমুদুল হাসান জয়কে দিয়ে শুরু। চট্টগ্রামে আগের টেস্ট সেঞ্চুরি করা আরেক ওপেনার তামিম ইকবালও ব্যর্থ। পরে একই পথে যান সাকিব আল হাসান, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, সৈয়দ খালেদ আহমেদ ও ইবাদত।

এক পর্যায়ে, ২৪ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে মহাবিপাকে পড়েছিল বাংলাদেশ। পরে মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাসের সেঞ্চুরিতে সাড়ে তিনশ ছাড়ানো সংগ্রহ পায় তারা। ছয় শূন্যের ইনিংসে দুই সেঞ্চুরির দেখাও মিলেছে প্রথমবার। মুশফিক অপরাজিত থাকেন ১৭৫ রানে। লিটনের ব্যাট থেকে আসে ১৪১ রানে। ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে তারা গড়েন বাংলাদেশের পক্ষে রেকর্ড ২৭২ রানের ষষ্ঠ উইকেট জুটি।

ছয় ডাকের ইনিংসে আগের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ ছিল ভারতের। ২০১৪ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যানচেস্টার টেস্টের প্রথম ইনিংসে ১৫২ রান করেছিল তারা। ওই ইনিংসে ডাক মেরেছিলেন মুরালি বিজয়, চেতেশ্বর পূজারা, বিরাট কোহলি, রবীন্দ্র জাদেজা, ভুবনেশ্বর কুমার ও পঙ্কজ সিং। অনেক বড় ব্যবধানে এবার তাদের পেছনে ফেলল বাংলাদেশ।

Comments

The Daily Star  | English
Civil society in Bangladesh

Our civil society needs to do more to challenge power structures

Over the last year, human rights defenders, demonstrators, and dissenters have been met with harassment, physical aggression, detainment, and maltreatment by the authorities.

9h ago