সাকিবদের সঙ্গে দেখা করতে তর সইছে না আমিনিদের
চার্লস আমিনিকে বলা যায় আপাদমস্তক ক্রিকেট পরিবারের ছেলে। তার বাবা আশির দশকে খেলেছেন পাপুয়া নিউগিনির হয়ে, মা কুনে আমিনিও খেলেছেন দেশটির হয়ে নারী ক্রিকেট। ভাই ক্রিস আমিনিও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেছেন দেশের হয়ে। আইসিসি সহযোগী সদস্য দেশটির অবশ্য হাতেগোনা কয়েকটি পরিবারই ক্রিকেট খেলে। তাদের জন্য বিশ্ব আসরে আন্তর্জাতিক তারকাদের বিপক্ষে খেলা তাই বড় ব্যাপার। আমিনিরাও সেই রোমাঞ্চ লুকালেন না।
আমিনি জানালেন, বাংলাদেশের বিপক্ষে নামার আগে সাকিব আল হাসানদের সঙ্গে কথা বলার উত্তেজনাতেই ফুটছেন তারা।
তার পুরো নাম চার্লস জর্দান অ্যালিওয়া আমিনি। পুরো নাম বলার কারণ তার বাবার নামও চালর্স আমিনি। বাবা থেকে নিজের নাম আলাদা হচ্ছে জর্দান অ্যালিওয়া শব্দদ্বয়ে।
মঙ্গলবার ম্যাচ পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে হাজির হয়ে এই বাঁহাতি ব্যাটার জানালেন বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের সঙ্গে কথা বলে কিছু শিখতে মুখিয়ে তারা, 'আমি বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের সঙ্গে কথা বলতে মুখিয়ে আছি, বিশেষ করে সাকিবের সঙ্গে। সে বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার। আমি জানতে চাইব নিজের খেলাটা কীভাবে সে এগিয়ে নেয়, তার কি রকম পরিকল্পনা থাকে। সেও আমার মতো বাঁহাতি ব্যাটার। আমি জানতে চাইব তার রুটিন কি, যতটা জানা যায় আরকি।'
শুধু সাকিব নয়, যাকে সামনে পাবেন তার সঙ্গে কথা বলবেন আমিনি, 'বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা প্রচুর ক্রিকেট খেলেছে, তারা জানে কীভাবে খেলতে হয়। আমি যে কারো সঙ্গেই কথা বলতে চাই। এটা দুর্দান্ত অভিজ্ঞতা হবে।'
এবারের বিশ্বকাপে এসে বেশ কিছু অভিজ্ঞতায় ঋদ্ধ হচ্ছে পাপুয়া নিউগিনি। তার একটির কথা তিনি বললেন উদাহরণ হিসেবে, 'ওয়ার্মআপ ম্যাচের সময় মাহেলা জয়াবর্ধনে আমাদের ড্রেসিংরুমে এসেছিলেন। খেলা নিয়ে, রান তাড়া নিয়ে কথা বলেছেন। তার মতো একজনের কাছ থেকে দারুণ কিছু শিখেছি।'
'অ্যাডাম গিলক্রিস্ট আমার ব্যাটিং হিরো। সে আগ্রাসী খেলোয়াড় ছিল। খেলাটাকে বদলে দেওয়া একজন ছিল, বিশেষ করে ওয়ানডেতে। অনেক খেলোয়াড়ই প্রথম ৬-১০ ওভারে তার মতো খেলতে চায়।'
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এবার প্রথম দুই ম্যাচে ওমান ও স্কটল্যান্ডের কাছে হেরে বিদায় নেওয়ার দুয়ারে পাপুয়া নিউগিনি। অসম্ভব এক গাণিতিক সমীকরণে টিকে তাদের আশা।
তবে নিজেরা যেতে না পারলেও বাংলাদেশকে বিপদে ফেলার সুযোগ তাদের সামনে। পরের পর্বে যেতে পাপুয়া নিউগিনিকে কমপক্ষে ৩ রানে হারালেই চলবে বাংলাদেশের।
Comments