সহজ জয়ের পথে ইংল্যান্ড
লড়াই করার জন্য বড় লক্ষ্য ছুঁড়ে দিতে পারেনি বাংলাদেশ। সাদামাটা পুঁজিতে প্রয়োজন ছিল শুরুতেই একাধিক উইকেট তুলে নিয়ে ইংলিশদের চেপে ধরা। সেটা করতে পারেননি বাংলাদেশের বোলাররা। উল্টো শুরু থেকেই সাবলীল ব্যাটিংয়ে লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে ইংল্যান্ড।
বুধবার বুধবার আবুধাবির জায়েদ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১০ ওভারে ১ উইকেটে ৯০ রান তুলেছে ইংল্যান্ড। জিততে হলে পরের ১০ ওভারে ৩৫ রান করতে হবে দলটিকে। হাতে রয়েছে ৯ উইকেট।
লক্ষ্য তাড়ায় এদিন ভালো সূচনা পায় ইংল্যান্ড। ৩৯ রানের ওপেনিং জুটি গড়েন দুই ওপেনার জেসন রয় ও জস বাটলার। পঞ্চম ওভারে বল হাতে নিয়ে এ জুটি ভাঙেন নাসুম আহমেদ। যদিও বলটি আহামরি কিছু ছিল না। তার শর্ট লেংথের বলে লংঅন ও এক্সট্রা কভারের উপর দিয়ে বাউন্ডারি মারতে চেয়েছিলেন বাটলার। বলে ব্যাটে ঠিকভাবে সংযোগ না হওয়ায় ক্যাচ তুলে দেন মোহাম্মদ নাঈমের হাতে।
এরপর জেসন রয়ের সঙ্গে জুটি বাঁধেন ডেভিড মালান। এরমধ্যেই অবিচ্ছিন্ন ৫১ রানের জুটিতে দলকে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন এ দুই ব্যাটার। জেসন রয়ে ৪৪ ও মালান ১৭ রানে উইকেটে রয়েছেন।
এর আগে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই চাপে পড়ে বাংলাদেশ। যদিও প্রথম ওভারেই চড়াও হয়েছিলেন লিটন দাস। কিন্তু পরের ওভারেই শেষ তাদের আগ্রাসী ব্যাটিং। তৃতীয় ওভারেই টাইগার শিবিরে জোড়া ধাক্কা দেন মইন আলী। সে ধাক্কার চাপ পুরো ম্যাচেও কাটিয়ে উঠতে পারেনি বাংলাদেশ।
চতুর্থ উইকেটে মুশফিকুর রহিমকে নিয়ে চেষ্টা করেছিলেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। ৩৭ রানের জুটি গড়েছিলেন এ দুই ব্যাটার। তবে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে বিপদ ডেকে আনেন মুশফিক। এলবিডাব্লিউর ফাঁদে পড়েন তিনি। এছাড়া অষ্টম উইকেটে নাসুম-সোহানের ২৬ জুটি ছাড়া কোনো বলার মতো জুটি গড়ে ওঠেনি। ফলে সাদামাটা সংগ্রহ নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয় তাদের।
তবে বাংলাদেশের পুঁজিটা ছোট হতে পারতো আরও। ব্যাটারদের ব্যর্থতার ভিড়ে শেষ দিকে লেজের ব্যাটার নাসুম আহমেদের দারুণ এক ক্যামিওতে পুঁজিটা বলার মতো হয় টাইগারদের।
অথচ ইনিংসের প্রথম ওভারে ডাউন দ্য উইকেট গিয়ে দারুণ দুটি শটে বাউন্ডারি আদায় করে নেওয়া লিটন এদিন ভিন্ন কিছুর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। কিন্তু পারেননি ব্যর্থতার বৃত্ত থেকে বের হতে। পরের ওভারেই আউট হয়েছেন টপ এজ হয়ে। মইন আলীর বলে সুইপ করতে গিয়ে আকাশে তুলে দেন এ ওপেনার।
সে ধাক্কা সামলাতে না সামলাতে বাংলাদেশের চাপ আরও বাড়িয়ে দেন মোহাম্মদ নাঈম শেখ। পরের বলে দুর্বল শটে ক্যাচ তুলে দেন মিডঅনে। তবে টাইগাররা বড় ধাক্কাটা খায় ষষ্ঠ ওভারে। আউট হয়ে যান সাকিব। রানের গতি বাড়ানোর চেষ্টা করেছিলেন এ অলরাউন্ডার। কিন্তু ক্রিস ওকসের বলে হুক করতে গিয়ে শর্ট ফাইন লেগে ক্যাচ তুলে বিদায় নেন তিনি।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ২৯ রানের ইনিংস খেলেছেন মুশফিক। ৩০ বলে ৩টি চারের সাহায্যে এ রান করেন তিনি। ২৪ বলে ১৯ রান করেন মাহমুদউল্লাহ। ৯ বলে ১টি চার ও ২টি ছক্কায় হার না মানা ১৯ রান করেন নাসুম। ইংল্যান্ডের পক্ষে ২৭ রানের খরচায় ৩টি উইকেট নিয়েছেন টাইমাল মিলস। ২টি করে উইকেট নিয়েছেন মইন আলী ও লিয়াম লিভিংস্টোন।
Comments