ভালো উইকেটে এমন ব্যাটিংয়ে হতাশ মাহমুদউল্লাহ

উইকেটে ছিল না ব্যাটারদের ভয় পাওয়ার মতো রসদ। তারপরও বাংলাদেশ পেল না লড়াই করার মতো পুঁজি।
ছবি: বিসিবি

উইকেটে ছিল না ব্যাটারদের ভয় পাওয়ার মতো রসদ। তারপরও ব্যর্থতায় আটকে বাংলাদেশ পেল না লড়াই করার মতো পুঁজি। মামুলি লক্ষ্য অনায়াসে পেরিয়ে গেল ইংল্যান্ড। সুপার টুয়েলভে টানা দ্বিতীয় হারের পর বাংলাদেশ অধিনায়ক দায় দিলেন দলের ব্যাটারদের।

বুধবার আবুধাবিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে একপেশে ম্যাচে বাংলাদেশকে ৮  উইকেটে হারিয়েছে ইংল্যান্ড। টস জিতে ব্যাটিং নিয়ে ৯ উইকেট খুইয়ে মাত্র ১২৪ রান করতে পারেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদরা। জবাবে ৩৫ বল হাতে রেখে লক্ষ্য ছুঁয়ে ফেলে ওয়েন মরগ্যানের দল।

শ্রীলঙ্কার কাছে ৫ উইকেটে হেরে সুপার টুয়েলভ শুরু করেছিল বাংলাদেশ। এবার ইংলিশদের কাছেও পরাস্ত হওয়ায় রাসেল ডমিঙ্গোর শিষ্যদের বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ওঠার স্বপ্ন অনেকটাই ভেস্তে যাওয়ার পথে।

উইকেট ব্যাটিংবান্ধব হওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশের ব্যাটাররা সুবিধা কাজে লাগাতে পারেননি। মুশফিকুর রহিম সর্বোচ্চ ২৯ রান করতে খেলেন ৩০ বল। টি-টোয়েন্টি ঘরানার ব্যাটিং করেন কেবল নাসুম আহমেদ। নয় নম্বরে নামা এই বাঁহাতি স্পিনার ৯ বলে ১৯ রানে অপরাজিত থাকেন। তার ব্যাট থেকে আসে ১ চার ও ২ ছক্কা।

অথচ জবাব দিতে নেমে নির্বিঘ্নে ব্যাট চালান জেসন রয়-ডেভিড মালানরা। ইংল্যান্ডের ওভারপ্রতি রান তোলার গড় ছিল ৮.৮৯। বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে রয় তুলে নেন হাফসেঞ্চুরি। সাজঘরে ফেরার আগে তার ৩৮ বলে ৬১ রানের ইনিংসে ছিল ৫ চার ও ৩ ছক্কা। সমীকরণ সহজ হওয়ায় মালান ঝুঁকি না নিয়ে অপরাজিত থাকেন ২৫ বলে ২৮ রানে।

ম্যাচশেষে মাহমুদউল্লাহ দায় দিলেন ব্যাটারদের, 'অবশ্যই, আমরা ব্যাটিং নিয়ে হতাশ। উইকেট ভালো ছিল। কিন্তু আমরা ভালো শুরু করতে পারিনি। মাঝে আমরা কোনো জুটিও গড়তে পারিনি। ভালো শুরু পেলে আমরা তা কাজে লাগাতে পারতাম।'

দলের ১৪ রানের মাথায় পরপর দুই বলে বিদায় নেন লিটন দাস ও নাঈম শেখ। ওপেনারদের ব্যর্থতার দিকে আলাদা করে আঙুল তোলেন তিনি, 'আমরা ভালো শুরুর অভাবে ভুগছি। সেটা না পেলে এই ধরনের উইকেটে ব্যাট করা কঠিন হয়ে পড়ে। আমাদের পাওয়ার হিটারের চেয়ে স্কিলফুল হিটারের সংখ্যা বেশি। আমার মনে হয়, ব্যাটিং নিয়ে আমাদের বেশ কিছু জিনিস পুনর্মূল্যায়ন করতে হবে।'

Comments

The Daily Star  | English

Cuet students suspend protests

Say authorities assured them of meeting their major demands

1h ago