ভারতের বিপক্ষে বাবরদের আগ্রাসী ও ভয়ডরহীন থাকতে বলেছেন ইমরান
ওয়ানডে হোক কিংবা টি-টোয়েন্টি, কোনো বিশ্বকাপেই ভারতকে এখন পর্যন্ত হারাতে পারেনি পাকিস্তান। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের বিপক্ষে এই ব্যর্থতার বৃত্ত ভাঙতে তারা মুখিয়ে আছে। হাইভোল্টেজ লড়াইয়ের আগে ইমরান খানের পরামর্শও মিলেছে তাদের। পাকিস্তানের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও ওয়ানডে বিশ্বকাপজয়ী সাবেক এই তারকা বাবর আজমদের বলেছেন আগ্রাসী ও ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলতে।
পরস্পরের মুখোমুখি হয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের মাটিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের অভিযান শুরু করবে পাকিস্তান ও ভারত। আগামীকাল রোববার দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে সুপার টুয়েলভের গ্রুপ দুইয়ের ম্যাচটি মাঠে গড়াবে বাংলাদেশ সময় রাত আটটায়।
দুই সংস্করণের বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে ১২ ম্যাচ খেলেও জয়হীন পাকিস্তান। ওয়ানডে বিশ্বকাপে তাদের সাত লড়াইয়ের সবকটিতে জিতেছে ভারত। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দুই দলের পাঁচ ম্যাচের চারটিতে সরাসরি জিতেছে তারা। বাকি ম্যাচটি হয়েছিল টাই। ২০০৭ সালে বিশ্বকাপের অভিষেক আসরের ওই ম্যাচেও পরে হার মানে পাকিস্তান। এবারও তাদের পক্ষে বাজি ধরার মতো ক্রিকেটপ্রেমীর সংখ্যা খুবই কম।
তবে ম্যাচের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে সতীর্থদের অতীত ভুলে যাওয়ার বার্তা দিয়েছেন পাকিস্তানের অধিনায়ক ও সময়ের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান বাবর, 'সত্যি কথা বলতে, যা ঘটে গেছে তা এখন আমাদের আয়ত্বের বাইরে। ম্যাচের দিন আমরা আমাদের সামর্থ্য ও আত্মবিশ্বাস কাজে লাগাতে চাই যেন আমরা একটা ভালো ফল পেতে পারি। রেকর্ড গড়াই হয় ভাঙার জন্য।'
বিশ্বকাপ খেলতে রওনা হওয়ার আগে ইমরানের সঙ্গে হওয়া সাক্ষাতের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেছেন, 'দেশ ছাড়ার আগে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান আমাদের সঙ্গে দেখা করেছিলেন এবং ১৯৯২ সালের বিশ্বকাপ জেতার অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করেছিলেন। ভারতের বিপক্ষে তিনি আমাদের আগ্রাসী ও ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলতে বলেছেন।'
সুপার টুয়েলভের বাধা পেরিয়ে সেমিফাইনালে যেতে হলে জয় দিয়ে আসর শুরু করাকে গুরুত্বপূর্ণ মানছেন বাবর, 'পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যকার ম্যাচ মানেই উত্তেজনার পারদ থাকে তুঙ্গে। তাই ম্যাচে আমাদের তিনটি বিভাগের প্রতিটিতে ভালো করতে হবে।... জয় দিয়ে শুরু করাটা জরুরি এবং এরপর আমরা ম্যাচ ধরে ধরে হিসাব করব।'
মাঠে বসে খেলা উপভোগ করতে বরাবরের মতো এবারও ভারত ও পাকিস্তানের ম্যাচের টিকিট নিয়ে হয়েছে কাড়াকাড়ি। রাজনৈতিক টানাপোড়েনের কারণে কেবল আইসিসি ইভেন্টগুলোতে মুখোমুখি হওয়া দুই দলের বহুল প্রতীক্ষিত লড়াইয়ের সব টিকিট বিক্রি হয়ে যায় মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যে। করোনাভাইরাস পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় বিশ্বকাপে গ্যালারির দর্শক ধারণক্ষমতার ৭০ শতাংশ টিকিট বিক্রির অনুমতি দিয়েছে আরব আমিরাত সরকার।
Comments