বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বোলারদেরও কঠিন চ্যালেঞ্জ দেখছেন সালাউদ্দিন
বিশ্বকাপের আগে জেতার ধারায় থাকলেও ব্যাটসম্যানদের রান খরাটা বাড়াচ্ছে চিন্তা। কিন্তু ঘরোয়া ক্রিকেটের অন্যতম সফল কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন মনে করেন, ব্যাটসম্যানদের পাশাপাশি বোলারদের জন্যও অপেক্ষায় কঠিন চ্যালেঞ্জ।
ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ছড়ি ঘুরিয়েছেন বাংলাদেশের বোলাররা। বিশেষ করে কাটার মাস্টার মোস্তাফিজুর রহমান ও স্পিন বোলারদের আধিপত্য দেখা গেছে পরিষ্কার।
প্রতিপক্ষকে অল্প রানে আটকে রাখা। টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ওভারপ্রতি পাঁচের নিচে রান দিয়ে দেখান ঝলক। কিন্তু এরকম পারফরম্যান্স এসেছে মূলত উইকেটের অতি সহায়তায়।
মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামের উইকেট ছিল প্রচণ্ড মন্থর ও টার্নিং। এখানে বোলারদের তাই খুব বেশি কিছু করতে হয়নি। সে জায়গায় বিশ্বকাপে গিয়ে স্পোর্টিং উইকেটে খেলতে হবে তাদের।
বোলারদের নৈপুণ্যে অজিদের বিপক্ষে ৪-১ ও কিউইদের বিপক্ষে ৩-২ ব্যবধানে জিতলেও আসল বাস্তবতার সামনে বোলাররা ভড়কে যান কিনা। মঙ্গলবার দ্য ডেইলি স্টারের আলাপে এমন উদ্বেগই মিলল তার কণ্ঠে, 'বোলারদেরও মানিয়ে নিতে হবে (বিশ্বকাপে)। তাদের কাজটাও খুব কঠিন হতে চলেছে। এখানে বোলাররা কেবল লাইন মেন্টেন করে বল করেই সাফল্য পেয়েছে। কিন্তু বিশ্বকাপে কাজটা হবে কঠিন, সংগ্রাম করতে হবে। আপনাকে ব্যাটসম্যানদের বেধে রাখতে হবে, তাদের বিপদে ফেলতে অনেক কিছু করতে হবে। আমাদের এই কন্ডিশনে কেবল ঠিক লাইনে বল করলেই পিচই বাকি সব করে দিচ্ছে। এই জায়গায় আমি ঘাটতি দেখছি।'
সালাউদ্দিন মনে করেন জেতার পাশাপাশি বিশ্বকাপের কাছাকাছি কন্ডিশনে ম্যাচ খেলা দরকার ছিল। বিশ্বকাপের আগে তাই টিম ম্যানেজমেন্টের চ্যালেঞ্জও সেই ঘাটতি পূরণ, 'যত দ্রুত বোলাররা দুবাই আর ওমানের কন্ডিশনে মানিয়ে নিতে পারবে ততই মঙ্গল। উদাহরণ হিসেবে যদি হরের মাঠে ব্যাটসম্যানদের শট কমিয়ে খেলার একটা চেষ্টা করতে হয়। কিন্তু বিশ্বকাপের উইকেটে করতে হবে উল্টোটা। মানিয়ে নেওয়ার চ্যালেঞ্জ সেখানে। জেতাটা অবশ্যই দারুণ ব্যাপার কিন্তু একটা-দুইটা হারই পুরো চিত্র বদলে দিতে পারে। আমার মনে হয় বিশ্বকাপের আগে টিম ম্যানেজমেন্টের এসব জায়গা মানিয়ে নেওয়াটা বড় চ্যালেঞ্জের।'
দ্য ডেইলি স্টারের মাজহার উদ্দিনের নেওয়া মোহাম্মদ সালাউদ্দিনের সাক্ষাতকার পড়ুন ইংরেজি সংস্করণে- 'The quicker they adjust, the better'
Comments