পাকিস্তানের কাছে হারের পর শামিকে গালিগালাজ

অবশেষে ভারতের বিপক্ষে জয় পেয়েছে পাকিস্তান। রীতিমতো ভারতকে গুঁড়িয়ে দিয়েই জয় তুলে নিয়েছে দলটি। এমন জয়ের চলছে পাকিস্তানিদের প্রশংসা। অন্যদিকে তোপের মুখে পড়েছেন ভারতীয় খেলোয়াড়রা। বিশেষকরে পেসার মোহাম্মদ শামিকে সরাসরি আক্রমণ করেছেন কিছু উগ্রপন্থী সমর্থক।
Mohammed Shami

অবশেষে ভারতের বিপক্ষে জয় পেয়েছে পাকিস্তান। রীতিমতো ভারতকে গুঁড়িয়ে দিয়েই জয় তুলে নিয়েছে দলটি। এমন জয়ে চলছে পাকিস্তানিদের প্রশংসা। অন্যদিকে তোপের মুখে পড়েছেন ভারতীয় খেলোয়াড়রা। বিশেষকরে পেসার মোহাম্মদ শামিকে সরাসরি আক্রমণ করেছেন কিছু উগ্রপন্থী সমর্থক।

রোববার দুবাইয়ে পাকিস্তানের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি ভারত। পাকিস্তানের দুই ওপেনারের কাছে বেদম পিটুনি খেয়েছেন শামি। ৩.৫ ওভারে রান খরচ করেছেন ৪৩টি। তাতেই বেজায় খেপেছেন কিছু ভারতীয় সমর্থক। ম্যাচ শেষ না হতেই তার ইনস্টাগ্রাম আইডিতে হানা দেন নেটিজেনরা।

ম্যাচের ১৮তম নিজের শেষ ওভারটি করতে আসেন শামি। পাকিস্তানের দরকার তখন ১৭ রান। প্রথম বলেই ছক্কা খান শামি। পরের দুটি বলেও বাউন্ডারি। তাতে সেই ওভারের এক বল বাকি থাকতেই জিতে যায় পাকিস্তান। তারপরই আক্রমণ শুরু হয় শামিকে লক্ষ্য করে। ইনস্টাগ্রামে শামির ছবির নিচে গালিগালাজ করেন তারা।

'পাকিস্তানের দ্বাদশ খেলোয়াড়।',

'বিক্রিই হয়ে যাস যদি, তাহলে খেলিস কেন?'

'পাকিস্তানের থেকে কত টাকা খেয়েছ?'

'পাকিস্তানে চলে যাও।' - এমন অনেক মন্তব্যই আসে শামির ছবির নিচে।

আবার কেউবা সরাসরি পাকিস্তানি বলেই আক্রমণ করেছেন।

পরে অবশ্য শামির সমর্থনে এগিয়ে আসেন অনেকে। একজন বলেছেন, 'ম্যাচ হেরে যাওয়ার পর ধোনি-কোহলিরা পাকিস্তানিদের সঙ্গে মজা করতে পারেন। অন্যদিকে প্রত্যাশা মতো পারফরম্যান্স করতে না পারায় গালিগালাজ করা হয় শামিকে। সইতে হয় ঘৃণা।'

আরেক নেটিজেন লিখেছেন, 'দারুণ বল করেছ চ্যাম্প। তুমি তোমার সেরাটা দিয়েছ। আজ আমাদের দিন ছিল না।'

শামি ছাড়া অন্য বোলাররাও আহামরি ভালো কিছু করতে পারেননি ভারতের হয়ে। এমনকি অধিনায়ক বিরাট কোহলি ও রিশাভ পান্ত ছাড়া আর কোনো ব্যাটারও কিছুই করতে পারেননি। তাতে ভারতের পুঁজিটা ছিল পাকিস্তানের হাতের নাগালেই। দুই ওপেনার বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ানের ব্যাটে সহজ জয় তুলে নেয় দলটি।

Comments

The Daily Star  | English

Create right conditions for Rohingya repatriation: G7

Foreign ministers from the Group of Seven (G7) countries have stressed the need to create conditions for the voluntary, safe, dignified, and sustainable return of all Rohingya refugees and displaced persons to Myanmar

2h ago