নেদারল্যান্ডসকে উড়িয়ে দিয়ে বাংলাদেশের গ্রুপেই শ্রীলঙ্কা
বিদায় আগেই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল নেদারল্যান্ডসের। শেষ ম্যাচটা ছিল মর্যাদার লড়াই। আর সে লড়াইয়ে ন্যুনতম প্রতিরোধটাও গড়তে পারেনি দলটি। তাদের রীতিমতো উড়িয়ে দিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে শ্রীলঙ্কা। ফলে গ্রুপ ১-এ বাংলাদশের গ্রুপেই পড়েছে দলটি।
শুক্রবার শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নেদারল্যান্ডসকে ৮ উইকেটে হারিয়েছে শ্রীলঙ্কা। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ১০ ওভারেই ৪৪ রানে অলআউট হয়ে যায় ডাচরা। জবাবে ৭৭ বল হাতে রেখেই লক্ষ্যে পৌঁছায় ২০১৪ সালের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।
এ জয়ে বাংলাদেশের গ্রুপটা আরও কঠিন হয়ে এলো। শ্রীলঙ্কা ছাড়া এ গ্রুপে রয়েছে দুইবারের চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বছর জুড়ে গড়পড়তার ফলাফল করলেও বিশ্বকাপে বরাবরই তেতে ওঠে দলটি। আর একবারের চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডও রয়েছে এই গ্রুপে। এছাড়াও অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার মতো শক্তিশালী দলও রয়েছে।
অবশ্য গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পথটা আগেই করে রেখেছিল শ্রীলঙ্কা। সুপার টুয়েলভ নিশ্চিত করার পথেই রানরেট অনেক এগিয়ে রেখেছিল তারা। এদিন শতভাগ জয়ের লক্ষ্যে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং বেছে নেয় দলটি। বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে এক কলিন একারমান ছাড়া কাউকেই দুই অঙ্কে পৌঁছাতে দেয়নি দলটি।
শুরুতে ডাচ শিবিরে ঘূর্ণির মায়াজাল বেছান অফস্পিনার মানিশ ঠিকসানা। তাতে নেদারল্যান্ডসের টপ অর্ডার ভাঙে। তার সঙ্গে যোগ দেন লেগস্পিনার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। মিডল অর্ডার ধসিয়ে দেন তিনি। এরপর লেজ ছাঁটাইয়ের কাজ করে পেসার লাহিরু কুমারা। তাতে বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন রানে গুটিয়ে যায় লঙ্কানরা।
অবশ্য সর্বনিম্ন রানের রেকর্ডটি নেদারল্যান্ডসেরই। ২০১৪ সালে চট্টগ্রামে এই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেই মাত্র ৩৯ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল তারা। সর্বনিম্ন রানে অলআউট করে দেওয়া প্রথম তিনটি কীর্তি শ্রীলঙ্কারই। ২০১৪ সালে নিউজিল্যান্ডকে ৬০ রানে অলআউট করেছিল তারা।
সবমিলিয়ে এটা ষষ্ঠ সর্বনিম্ন রান। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে কম রানে গুটিয়ে যাওয়ার রেকর্ডটি তুরস্কের। ২০১৯ সালে চেক রিপাবলিকের বিপক্ষে মাত্র ২১ রানে অলআউট হয়েছিল তারা।
ডাচদের পক্ষে একমাত্র দুই অঙ্ক স্পর্শ করা কলিন করেন ১১ রান। শ্রীলঙ্কার পক্ষে ৩ ওভার বল করে মাত্র ৭ রান খরচ করে ৩টি উইকেট নেন কুমারা। ৩ ওভার বল করে ৯ রানের বিনিময়ে ৩টি শিকার হাসারাঙ্গার। এক ওভার বল করে ২টি উইকেট পান ঠিকসানা।
লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা ভালো হয়নি শ্রীলঙ্কার। শুরুতেই খালি হাতে ফিরে যান ওপেনার পাথুম নিসাঙ্কা। এরপর আরেক ওপেনার কুশল পেরেরা ২৪ রানের জুটি গড়েন চারিথ আসালাঙ্কাকে নিয়ে। সেখানে মাত্র ৬ রান করে আসালাঙ্কা। তার বিদায়ের পর বাকি কাজ আভিস্কা ফের্নান্ডোকে নিয়ে শেষ করেন পেরেরা। ২৪ বলে ৬টি চারে ৩৩ রান করেন এ ওপেনার।
Comments