‘অপেশাদারিত্ব’ ও অন্যরকম এক সংবাদ সম্মেলন
বাংলাদেশ দলের সময়ানুবর্তিতা নিয়ে আগেও খুব একটা সুনাম ছিল না। আইসিসি , এসিসি ইভেন্টে এর আগেও দেখা গেছে দলের অফিসিয়াল সংবাদ সম্মেলনে কখনই সময়মতো উপস্থিত থাকেননি বাংলাদেশের ক্রিকেটার বা প্রতিনিধিরা। এবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে নামার আগের দিনের সংবাদ সম্মেলন ছাড়িয়ে গেল সব কিছুকেই। তাতে প্রতিক্রিয়াও হলো অন্যরকম।
টানা খেলার মধ্যে থাকায় বুধবার কোন অনুশীলন ছিল না বাংলাদেশ দলের। তবে অনুশীলন না থাকলেও নিয়ম অনুযায়ী আইসিসির অফিসিয়াল সংবাদ সম্মেলনে আসতে বাধ্য দলের প্রতিনিধি। প্রথমে জানানো হয় স্থানীয় সময় দুপুরে হবে সে আয়োজন।
কিন্তু পরে তা বদলে স্থানীয় সময় সাড়ে ৫টা ও বাংলাদেশ সাড়ে সাতটায় নিয়ে আসা হয়। সেই সময়ও ঠিক থাকেনি। আইসিসির মিডিয়া বিভাগের কর্মকর্তারা দুঃখপ্রকাশ করে জানান আরও আধাঘণ্টা বিলম্ব হবে। স্থানীয় সময় ৬টায় টুর্নামেন্ট কাভার করতে যাওয়া সাংবাদিকরা জড়ো হন সংবাদ সম্মেলন কক্ষে। ভার্চুয়ালি জুমে যুক্ত ছিলেন আরও কয়েকজন সাংবাদিক।
টানা ৪০ মিনিট অপেক্ষার পরও আসেননি বাংলাদেশ দলের কেউ। তখন আইসিসির মিডিয়া বিভাগের কর্মকর্তাদের মুখ থেকেও বের হয় অসহায়ত্ব, তারা তাদের পেশাদারিত্ব মেনে দুঃখপ্রকাশ করে যান।
জানানো হয় স্থানীয় সময় সোয়া সাতটায় দলের কেউ একজন আসবেন। সেই সময়টাও রক্ষা না হওয়ায় বাংলাদেশ থেকে কাভার করতে যাওয়া সাংবাদিকরা প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন বয়কট করেন। শেষবার দেওয়া সময়ের আরও ২৫ মিনিট বিলম্বে দলের হয়ে কথা বলতে আসেন ব্যাটিং কোচ অ্যাশওয়েল প্রিন্স।
কিন্তু সম্মেলন কক্ষ তখন প্রশ্ন করার জন্য কোন সাংবাদিক ছিলেন না। বাধ্য হয়ে আইসিসির মিডিয়া ম্যানেজারই কয়েকটি প্রশ্ন করে নিয়ম রক্ষা করেছেন। পরে বাংলাদেশ থেকে জুমে দুটি প্রশ্ন করা হয় তাকে।
সুপার টুয়েলভ নিশ্চিতের ম্যাচে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় বিকেল ৪টায় পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে নামবে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল। এই ম্যাচ কমপক্ষে ৩ রানের ব্যবধানে জিতলেই নিশ্চিত হয়ে যাবে সুপার টুয়েলভ। তবে কোন অঘটন ঘটলে চরম বিপর্যয়ে পড়ে যেতে পারে দেশের ক্রিকেট।
সুপার টুয়েলভে নিশ্চিত করার পাশাপাশি বেশ কয়েকজন ব্যাটসম্যানের ফর্ম নিয়েও চিন্তায় বাংলাদেশ দল। প্রিন্স আশা করছেন ব্যাটসম্যানরা দ্রুতই ফিরে পাবেন চেনা ছন্দ।
Comments