শ্রীলঙ্কায় চার জাতির টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের কোচ লেমোস
শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠেয় চার জাতির আমন্ত্রণমূলক টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের ডাগআউটে দেখা যাবে মারিও লেমোসকে। তাকে এই সফরের জন্য লাল-সবুজ জার্সিধারীদের প্রধান কোচের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ন্যাশনাল টিমস কমিটির চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সহ-সভাপতি কাজী নাবিল আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
৩৫ বছর বয়সী লেমোসকে দায়িত্ব দেওয়া নিয়ে বৃহস্পতিবার নাবিল গণমাধ্যমকে জানান, 'তাকে চার জাতি টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের কোচ হিসেবে সুযোগ দেওয়া হচ্ছে।'
২০১৮ সালের ডিসেম্বর থেকে দেশের ঐতিহ্যবাহী ক্লাব ঢাকা আবাহনীর প্রধান কোচ হিসেবে কাজ করছেন পর্তুগালের নাগরিক লেমোস। তাকে বেছে নেওয়ার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে নাবিল বলেন, 'লেমোস ঢাকায় দুই-তিন বছর ধরে কাজ করেছে। সব খেলোয়াড়কে তার চেনা আছে। আমাদের খেলার শক্তিশালী দিকগুলোর পাশাপাশি দুর্বলতাও তার জানা আছে। তার যথেষ্ট অভিজ্ঞতা আছে। আবাহনীর হয়ে সে কাজ করছে এবং সাফল্যও পেয়েছে। অর্থাৎ শীর্ষ পর্যায়ের খেলোয়াড়দের সঙ্গে ওর কাজ করা হয়েছে। সেকারণে ওকে আমরা নির্বাচিত করেছি।'
চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে লেমোসের অধীনে জামাল ভূঁইয়া-সুমন রেজারা অনুশীলন শুরু করবেন বলে উল্লেখ করেন নাবিল, 'লেমোস এখন দেশে নেই। আশা করছি, আগামী দুই-তিনদিনের মধ্যে সে এসে পৌঁছাবে। সেক্ষেত্রে আগামী ২৫ অক্টোবর থেকে ক্যাম্প শুরু হবে।'
লম্বা সময় ধরে বাংলাদেশ দলের কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন জেমি ডে। কিন্তু পারফরম্যান্স আশানুরূপ না হওয়ায় তাকে দুই মাসের জন্য দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়েছে বাফুফে। সবশেষ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) শিরোপাধারী ক্লাব বসুন্ধরা কিংসের কোচ অস্কার ব্রুজন ছিলেন জাতীয় দলের দায়িত্বে।
শ্রীলঙ্কা সফরের জন্যও স্পেনের নাগরিক ব্রুজনকে দায়িত্ব দিতে চেয়েছিল বাফুফে। কিন্তু সেই প্রস্তাবে সম্মত হননি তিনি। টানা কাজের চাপ থেকে মুক্ত হতে নিয়েছেন ছুটি।
জাতীয় ফুটবল দলের কাছে অপরিচিত নাম নন লেমোস। ২০১৭ সালে ফিটনেস কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন তিনি। পরবর্তীতে আবাহনী তাকে প্রধান কোচের পদ দেয়। তার অধীনে সবশেষ বিপিএলে তৃতীয় হয়েছিল আবাহনী। এর আগে ২০১৯ সালে আবাহনীকে এএফসি কাপের নকআউট পর্বে উঠিয়ে ইতিহাস গড়েছিলেন তিনি।
Comments