শিরোপা জিততে 'বাজে লোক' হতে আপত্তি নেই টুখেলের

আরও একটি ফাইনালে মুখোমুখি লিভারপুল ও চেলসি। কদিন আগে কারাবাও কাপের ফাইনালে মোকাবেলা করেছে দল দুটি। সে লড়াইয়ে জিতেছে লিভারপুল। সে ম্যাচেই দেখেছেন ইংল্যান্ডের অধিকাংশ মানুষের সমর্থন লিভারপুলের দিকেই। এফএ কাপের ফাইনালেও সেই একই চিত্র। তাদের কিছুটা বিরক্ত চেলসি কোচ টমাস টুখেল। তবে সবাইকে হতাশ করে প্রয়োজনে 'বাজে লোক' হয়ে শিরোপায় চুমু খেতে চান এ জার্মান কোচ।

আরও একটি ফাইনালে মুখোমুখি লিভারপুল ও চেলসি। কদিন আগে কারাবাও কাপের ফাইনালে মোকাবেলা করেছে দল দুটি। সে লড়াইয়ে জিতেছে লিভারপুল। সে ম্যাচেই দেখেছেন ইংল্যান্ডের অধিকাংশ মানুষের সমর্থন লিভারপুলের দিকেই। এফএ কাপের ফাইনালেও সেই একই চিত্র। তাদের কিছুটা বিরক্ত চেলসি কোচ টমাস টুখেল। তবে সবাইকে হতাশ করে প্রয়োজনে 'বাজে লোক' হয়ে শিরোপায় চুমু খেতে চান এ জার্মান কোচ।

শনিবার রাতে লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে এফএ কাপের ফাইনালে লিভারপুলের মুখোমুখি হবে চেলসি। এ ম্যাচের আগে ইংলিশদের সমর্থন বেশির ভাগই লিভারপুলের দিকে। ১৬ বছরেরও বেশি সময় ধরে এফএ কাপ জিততে পারে না দলটি। তবে ব্যাপারটি লম্বা খরার জন্য নয়, লিভারপুল কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপের নিজেদের আন্ডারডগ বানানোর ক্ষমতার কারণেই হয়েছে বলে মনে করেন টুখেল।

ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে এ জার্মান কোচ বলেন, 'ক্লপ নিজেদের আন্ডারডগ প্রমাণ করানোর মাস্টার। এমনকি ভিয়ারিয়াল আর বেনফিকার বিপক্ষে ম্যাচের আগেও নিজেদের আন্ডারডগ ভাবাতে বাধ্য করেছেন তিনি। যদিও এটা আশ্চর্যের বিষয় যে ড্রয়ে লিভারপুল কীভাবে ওদের পেয়ে গেল! তিনি আজীবন এমনটাই করে এসেছেন। ঠিক এ কারণেই মানুষের সহমর্মিতা পান।'

এর আগে বরুশিয়া ডর্টমুন্ডে থাকতেও ক্লপ একই কাজ করেছেন বলে জানান তিনি, 'এখানে আমার দিক থেকে হিংসার কিছু নেই। ক্লপ অসাধারণ একজন মানুষ, মজার মানুষ। বিশ্বের অন্যতম সেরা একজন কোচ, এটাই তার কাজ। তিনি যখন ডর্টমুন্ডের কোচ ছিলেন, পুরো দেশ ডর্টমুন্ডকে ভালোবাসতো। এখন লিভারপুলের ক্ষেত্রেও সেটা হচ্ছে। এখন আপনার কাছে এমনটা মনে হতে পারে যে পুরো দেশ লিভারপুলকে ভালোবাসে।'

তবে সবকিছু মেনে নিয়েছেন টুখেল। এবার ফাইনালে জিততে খলনায়ক হতে আপত্তি নেই তার, 'তাকে কৃতিত্ব দিতেই হয় এই ব্যাপারে। যে কারণে আপনি যখনই তার দলের বিপক্ষে খেলতে যাবেন, এমনটাই মনে হবে। এটাই মজার বিষয়। তবে ফাইনালে যদি আমাদের কেউ বাজে লোক ভাবে, কোনো সমস্যা নেই। আমরা মেনে নিচ্ছি। আমরা গোটা দেশের সহমর্মিতা চাই না, আমরা শুধু ট্রফিটা চাই।'

Comments

The Daily Star  | English

Pak PM lauds Bangladesh’s economic progress

Says ‘we feel ashamed when we look towards them’

1h ago