ভারতের গোকুলামকে হারিয়ে আশা বাঁচিয়ে রাখল কিংস

এএফসি কাপের গ্রুপ পর্বের বৈতরণী পার হওয়ার সম্ভাবনা টিকিয়ে রাখতে জিততেই হতো বসুন্ধরা কিংসকে। হারলে তো বিদায়ই। এমন সমীকরণ নিয়ে খেলতে নেমে দারুণ জয় দিয়ে বাছাই পর্ব শেষ করেছে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নরা।

এএফসি কাপের গ্রুপ পর্বের বৈতরণী পার হওয়ার সম্ভাবনা টিকিয়ে রাখতে জিততেই হতো বসুন্ধরা কিংসকে। হারলে তো বিদায়ই। এমন সমীকরণ নিয়ে খেলতে নেমে দারুণ জয় দিয়ে বাছাই পর্ব শেষ করেছে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নরা।

মঙ্গলবার কলকাতার সল্ট লেক স্টেডিয়ামে গোকুলাম কেরালাকে ২-১ গোলে হারিয়েছে অস্কার ব্রুজনের দল। দলের হয়ে একটি করে গোল দিয়েছেন রবসন দি সিলভা রবিনহো ও নুহা মারোং। ভারতীয় দলটির হয়ে ব্যবধান কমান জর্ডেইন ফ্লেচার।

আশা টিকে থাকলেও বসুন্ধরার ভাগ্য ঝুলছে মোহনবাগান ও মাজিয়া স্পোর্টসের মধ্যকার ম্যাচের উপর। সে ম্যাচটি মাজিয়া জিতলে কিংবা ড্র করলেই কেবল গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হতে পারবে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নরা। মোহনবাগান জয় পেলে মুখোমুখি লড়াইয়ে এগিয়ে থাকার সুবাধে পরের রাউন্ড খেলবে তারাই।

অথচ গোকুলামের কাছে মোহনবাগান হেরেছিল ৪-২ গোলের ব্যবধানে। আর প্রচণ্ড ঝড়-বৃষ্টির মধ্যে চলা ম্যাচে মোহনবাগানের কাছে কিংস হেরেছিল ৪-০ গোলের ব্যবধানে। মাজিয়া স্পোর্টস অ্যান্ড রিক্রিয়েশন ক্লাবের বিপক্ষে বাংলাদেশের দলটি ১-০ গোলে জিতে আসর শুরু করেছিল।

এদিন একাদশে তিন পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নামে কিংস। কাজী তারিক রায়হান, মাশুক মিয়া জনি ও চিনেডু ম্যাথিউয়ের বদলে খেলেন মাহবুবুর রহমান সুফিল, বিপলু আহমেদ ও মারোং। তাতে প্রায় একক আধিপত্য বজায় রেখে খেলতে থাকে দলটি। ৫৪ শতাংশ সময় বল দখলে ছিল তাদের। ২২টি শটও নেয় তারা, যার ৬টি ছিল লক্ষ্যে। অন্যদিকে ৯টি শট নিয়ে ৪টি লক্ষ্যে রাখতে পারে গোকুলাম।

শুরু থেকেই চাপ সৃষ্টি করে বেশ কিছু সুযোগ আদায় করলেও লক্ষ্যভেদ করতে পারছিল না বসুন্ধরা। ৩৬তম মিনিটে কাঙ্ক্ষিত গোল পায় দলটি। বাঁ প্রান্ত থেকে জায়গা বানিয়ে দারুণ এক বাঁকানো শটে লক্ষ্যভেদ করেন রবিনহো।

দ্বিতীয়ার্ধের নবম মিনিটে ব্যবধান বাড়ায় বসুন্ধরা। রবিনহোর ক্রস থেকে দুই ডিফেন্ডারের মাঝ থেকে দারুণ এক হেডে লক্ষ্যভেদ করেন মারোং। এর ২০ মিনিট পর ব্যবধান কমায় গোকুলাম। জেসিমের পাস পেয়ে বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে জোরাল শটে বল জালে পাঠান ফ্লেচার।

Comments

The Daily Star  | English

Diagnose dengue with ease at home

People who suspect that they have dengue may soon breathe a little easier as they will not have to take on the hassle of a hospital visit to confirm or dispel the fear.

34m ago