বাংলাদেশ যে কাঠামোতে টেস্ট খেলছে, তাতে ফল পাওয়ার কোন সম্ভাবনা দেখছেন না বাংলাদেশের কোচ রাসেল ডমিঙ্গো। দীর্ঘ পরিসরের ক্রিকেটে সাফল্য আনতে কাঠামোগত বদলের প্রয়োজনীয়তা দেখছেন কোচ। টেস্ট দলে নতুন প্রাণ সঞ্চার করতে চান তিনি একইসঙ্গে পুরনো কাউকে কাউকে বাদ দেওয়ারও ইঙ্গিত তার কথায়।
বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ম্যাচ খেলতে ভারতে এসে কঠিন এক বাস্তবতার মাঝে পড়েছে বাংলাদেশ। উইকেটের ধরণ দেখে যেমন একাদশ করা দরকার তা বুঝতে পেরেও তেমন একাদশ করতে না পারার অসহায়ত্ব কোচের কণ্ঠে।
ইন্দোর টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষে বাংলাদেশ পিছিয়ে আছে ৩৪৩ রানে। অপেক্ষায় আছে আরেকটি বড় হার। ইন্দোরের হোল্কার স্টেডিয়ামের উইকেটে ছিল ঘাসের ছোঁয়া। ভারত তিন পেসার নিয়ে কাঁপিয়ে দেয় বাংলাদেশকে। অথচ বাংলাদেশ এখানে নামে একজন পেসার কম নিয়ে। কেন এমনটা করেছেন এই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়েই কোচের উপলব্ধি, ‘দলের কাঠামো পরিবর্তন করা দরকার। দুই পেসার নিয়ে খেলা আসলেই কঠিন। আমাদের অবশ্যই একজন তৃতীয় পেসার দরকার যে ব্যাট করতে পারে। সাইফুদ্দিন ছিল কিন্তু সে চোটে ভুগছে। কিন্তু দলের কাঠামোর দিকে নজর দিতে হবে। আমার মনে হয় বাংলাদেশের বিপক্ষে যারা খেলবে তারা ভালো উইকেট বানাবে, যেখানে স্পিন অতো থাকবে না। আমাদের একজন পেসার খুঁজে বের করতে হবে যে সাত করে আটে ব্যাট করে দেবে।
কেবল একজন পেস অলরাউন্ডারই নয়। কোচের কণ্ঠে আরও নতুন খেলোয়াড় নিয়ে আসার আভাস। আবার একইসঙ্গে অভিজ্ঞ কিছু খেলোয়াড়ের অবদান স্বীকার করে তাদের বিদায় দেওয়ার ইঙ্গিত কোচের কণ্ঠে, ‘কোন সন্দেহ নেই দলের কাঠামো বদলাতে হবে, না হলে ফল আসবে না। আমি নির্বাচকদের সঙ্গে বসব এবং এই নিয়ে পরিকল্পনা করব। আমাদের কিছু খেলোয়াড় বের করতে হবে যাদের নিয়ে এগোনো যায়। যদি কিছু নতুন খেলোয়াড় নিয়েও আমাদের সংগ্রাম করতে হয় তাহলে এখানকার চেয়ে খারাপ কিছু হবে না। আমাদের দলে কিছু দুর্দান্ত খেলোয়াড় আছে এবং তাদের সম্মান করতে হবে। তাদের পাররম্যান্সের মূল্য দিতে হবে। কিন্তু দলের স্বার্থে আমাদের কিছু সিদ্ধান্ত নিতেই হবে।’