সিলেট ও কক্সবাজারে হবে জাতীয় লিগের সব খেলা

জাতীয় নির্বাচক  হাবিবুল বাশার সুমন জানান, কোভিড পরিস্থিতির কারণে ইচ্ছা থাকলেও হোম এন্ড অ্যাওয়ে পদ্ধতিতে জাতীয় লিগ আয়োজন করতে পারছেন না তারা।
Sylhet International Cricket Stadium
ফাইল ছবি: ফিরোজ আহমেদ

করোনাভাইরাস মহামারিতে গত বছর শুরুর পর মাঝপথে স্থগিত করে দেওয়া হয়েছিল জাতীয় ক্রিকেট লিগ। পরে ওই মৌসুমের খেলা আর চলানো যায়নি। অক্টোবরের মাঝামাঝিতে ফিরছে দেশের প্রথম শ্রেনীর ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় এই আসর। তবে করোনার প্রকোপ মাথায় রেখে খেলা হবে কেবল সিলেট ও কক্সবাজারে।

জাতীয় নির্বাচক  হাবিবুল বাশার সুমন জানান, কোভিড পরিস্থিতির কারণে ইচ্ছা থাকলেও হোম এন্ড অ্যাওয়ে পদ্ধতিতে জাতীয় লিগ আয়োজন করতে পারছেন না তারা।

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের মূল মাঠের সঙ্গে এবার ভেন্যু হিসেবে যুক্ত হচ্ছে নব নির্মিত সিলেট ক্রিকেট স্টেডিয়ামের গ্রাউন্ড-২। পাশাপাশি দুই মাঠে হবে দুই ম্যাচ।

Sylhet International Cricket Stadium Ground-2
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম, গ্রাউন্ড-২ । ছবি: শেখ নাসির

একইভাবে কক্সবাজারের শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের দুই গ্রাউন্ডে হবে আরও দুই ম্যাচ।

রোববার মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে গণমাধ্যমকে এমন তথ্য দেন হাবিবুল,  'আমরা চাই যেন হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে খেলতে পারি। সবাই সবার বিভাগে গিয়ে খেলুক। হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে কিন্তু আইপিএলের মতো অবস্থা তৈরি হয়। কিন্তু আমরা সবাই জানি, কোভিডের সঙ্গে আমাদের এখনো লড়াই করতে হচ্ছে। ভ্রমণটা একটু ঝুঁকিপূর্ণ। এখন পর্যন্ত যতদূর জানি দুইটা ভেন্যুতে খেলা হবে। একটা কক্সবাজার, আরেকটা সিলেটে।'

জাতীয় লিগ হয় টায়ার-১, টায়ার-২ দুই গ্রুপে। সিলেটে খেলবে এক গ্রুপ, কক্সবাজারে আরেক গ্রুপ। কোন দলেরই তাই অতিরিক্ত ভ্রমণের বিষয় থাকবে না।

জাতীয় লিগ এবার প্রতিদ্বন্দিতাপূর্ণ করতে বেশ আগেভাগেই স্কোয়াড করে দিয়েছেন নির্বাচকরা। ২০-২২ জনের স্কোয়াড নিয়ে দলগুলো চালাচ্ছেন ফিটনেস ট্রেনিং। হাবিবুল জানান ১৬ জনের বিভাগীয় স্কোয়াড দেওয়া হবে শিগগিরই,  'ফিটনেস পরীক্ষার  পর আমরা ১৬ জনের দল করে হবে। সবসময় আমরা ১৪ জনের দল দেই। এবার করোনার জন্য দুইজনের বেশি দিচ্ছি। এরপর ওরা টুর্নামেন্টে চলে যাবে। তাদের স্কিল ট্রেনিং পাঁচ তারিখে শুরু হয়ে যাবে। সবাই যথেষ্ট সময় পাচ্ছেন প্রস্তুতির জন্য। যেহেতু উইকেটগুলোও পর্যাপ্ত বিশ্রাম পেয়েছে কিছু দিনে। আশা করছি এবারের এনসিএল খুব প্রতিযোগিতামূলক হবে।'

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর পরই বাংলাদেশ সফরে আসবে পাকিস্তান দল। তাদের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ দিয়েই বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নতুন আসর শুরু করবে মুমিনুল হকরা। আগামী বছর দেশের বাইরেও আছেন কঠিন কিছু টেস্ট সফর। হাবিবুল মনে করেন দীর্ঘ পরিসরের ক্রিকেটারদের মানিয়ে নিতে তাই জাতীয় লিগ দেবে বড় সুযোগ,  'বিশ্বকাপের পরপরই আমাদের কিছু টেস্ট ম্যাচ আছে। এটা কিন্তু খেলোয়াড়দের তৈরি করার জন্যে ভালো একটি সুযোগ। আমরা খুব একটা টেস্ট খেলার সুযোগ পাইনি। অনুশীলন ম্যাচ আর  প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচের মধ্যে তো পার্থক্য অবশ্যই আছে। পাকিস্তান সিরিজের আগের জাতীয় লিগের মাধ্যমে পর্যাপ্ত প্রস্তুতি হবে বলে মনে করি।'

Comments

The Daily Star  | English
3rd tranche of IMF loan

IMF lowers Bangladesh’s economic growth forecast

Bangladesh economy to grow 5.7% in FY24, the lender says

21m ago