লিভিংস্টোনের রেকর্ডময় সেঞ্চুরির পরও জিতল পাকিস্তান
মোহাম্মদ রিজওয়ান আর বাবর আজমের ব্যাটে উড়ন্ত সূচনা পায় পাকিস্তান। এই দুজনের বড় ইনিংসের পর ফখর জামান আর মোহাম্মদ হাফিজের শেষের ঝড়ে রানের পাহাড়ে বসে সফরকারীরা। বিশাল রান তাড়ায় লিয়াম লিভিংস্টোন দেশের হয়ে দ্রুততম ফিফটি আর সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়লেও পেরে উঠেনি ইংল্যান্ড।
ওয়ানডে সিরিজে দ্বিতীয় সারির ইংল্যান্ডের কাছে হোয়াইটওয়াশ হলেও টি-টোয়েন্টিতে এসে কাঙ্খিত জয়ের দেখা পেল পাকিস্তান। নটিংহ্যামের ট্রেন্টব্রিজে শুক্রবার রাতে পাকিস্তান জিতেছে ৩১ রানের বড় ব্যবধানে।
আগে ব্যাট করে ৬ উইকেটে ২৩২ রান জড়ো করেছিল পাকিস্তান। জবাবে ২০১ রানে থেমেছে ইংল্যান্ডের দৌড়।
দলের জয়ে অবদান বেশ কজনের। অধিনায়ক বাবর আজম করেন ৪৯ বলে সর্বোচ্চ ৮৫ রান, রিজওয়ান ৪১ বলেই তুলেন ৬৩। শোয়াইব মাকসুদ ৭ বলে ১৯, ফখর ৮ বলে ২৬, হাফিজ ১০ বলে করেন ২৪ রান।
ইংল্যান্ডের হয়ে লিভিংস্টোন ৪৩ বলে ১০৩ করলেও দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্কোর জেসন রয়ের ১৩ বলে ৩২। আর কেউ করতে পারেননি ২০ রানও। শাহীন শাহ আফ্রিদি ৩০ রানে ৩ আর শাদাব খান ৫২ রানে নেন ৩ উইকেট।
বিশাল লক্ষ্য তাড়ায় নেমে দাবিদ মালান ফিরে যান দ্বিতীয় ওভারেই। শাহীনের বলে তার হাতেই ক্যাচ দেন তিনি।
জেসন আনতে থাকেন দ্রুত রান। তিনে নেমে জনি বেয়ারস্টোও টিকেননি। চারে নামা মঈন আলিও ফিরে যান দ্রুত। ঝড় তুলে থিতু হয়েও জেসন রয়ের ইনিংস থামে কাজ শেষ না করে। ৮২ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে গিয়েছিল স্বাগতিকরা।
এরপরই খেলার মোড় ঘুরিয়ে দেওয়া ব্যাটিং লিভিংস্টোনের। ইয়ন মরগ্যান, লুইস গেগ্ররিরা অল্প বিস্তর সময় দিলেও একা হাতে তিনিই বাড়াতে থাকেন দলের রান। মাত্র ১৭ বলে ফিফটি স্পর্শ করে ভেঙ্গে দেন মরগ্যানের ২১ বলে ফিফটির রেকর্ড। এরপর ৪২ বলে তিন অঙ্কে পৌঁছে ভাঙ্গেন মালানের ৪৮ বলে করা সেঞ্চুরির রেকর্ড। তার এমন খুনে মেজাজে অসম্ভব এক আশা জেগে উঠলে ম্যাচ যায় জমে। তবে ১৭তম ওভারে ঘটে বিপত্তি।
শাদাবের লেগ স্পিনে সেঞ্চুরির পর থেমে যান লিভিংস্টোন। মাত্র ৪৩ বলের ইনিংসে ৬ চারের সঙ্গে ৯ ছক্কা মেরেছেন তিনি। এরপর আর ম্যাচ বের করা সম্ভব ছিল না ইংল্যান্ডের।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে গিয়ে ইংল্যান্ডের বোলিং তুলোধুনো করতে থাকেন বাবর-রিজওয়ান। রানেভরা ট্রেন্টব্রিজের উইকেট থেকে আসতে থেকে অহরহ বাউন্ডারি-ওভারবাউন্ডারি। উদ্বোধনী জুটিতেই চলে আসে দেড়শো রান। ১৫তম ওভারে গিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে থামেন ৬৩ করা রিজওয়ান।
বাবর এগুচ্ছিলেন সেঞ্চুরির দিকে। ডেভিড উইলির বলে ৮ চার, ৩ ছক্কায় ৮৫ রানে তিনিও ধরা দেন কিপারের হাতে।
তবে শেষ ৫ ওভারের ঝড় ঠিকই বইয়ে দেয় পাকিস্তান। ৩০ বলে তারা আনে ৮২ রান। তাতে বড় কৃতিত্ব ফখর আর হাফিজের।
Comments