ঝড়ো ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশকে কঠিন লক্ষ্য দিল জিম্বাবুয়ে
ঝড়ো শুরুতে তীব্র বেগে ছুটছিল জিম্বাবুয়ের রানের চাকা। একটা সময় মনে হয়েছিল অনায়াসে দুইশো ছাড়িয়ে যাবে তাদের পুঁজি। তবে রেজিস চাকাভা আর ওয়েসলি মাধভেরেকে ফেরানোর পর ম্যাচে ফেরে বাংলাদেশ। ঝড় কিছুটা স্থিমিত হচ্ছিল। তবে রায়ান বার্লের শেষের তাণ্ডবে তারা ঠিকই চলে যায় দুশোর কিনারে।
রোববার হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে সিরিজ নির্ধারণী শেষ টি-টোয়েন্টিতে ৫ উইকেটে ১৯৩ রান তুলেছে জিম্বাবুয়ে। মাধভেরে করেন ৩৬ বলে সর্বোচ্চ ৫৪, চাকাভার ব্যাট থেকে আসে ২২ বলে ৪৮। মাত্র ১৫ বলে ৩১ করেন বার্ল।
নিয়মিত বোলারদের মার খাওয়ার দিনে ৩ ওভারে মাত্র ১৯ রান দিয়ে বাংলাদেশের সফলতম বোলার সৌম্য সরকার।
দুই ওপেনার টাডিওয়ানশে মারুমানি আর ওয়েসলি মাধভেরে আনেন উড়ন্ত শুরু। মেরে খেলার অ্যাপ্রোচ দেখান প্রথম বল থেকেই। পুরো সিরিজে ব্যর্থ মারুমানি এদিন দেখান ছন্দ।
আগের ম্যাচে ফিফটি করে স্বাগতিকদের নায়ক মাধভেরেও হন আগ্রাসী। তাসকিন আহমেদের চতুর্থ ওভারের প্রথম পাঁচ বল থেকেই বাউন্ডারি আদায় করে দেন তিনি। মারুমানি শরিফুল ইসলামকে ছক্কায় উড়ানোর পর সাইফুদ্দিনকেও পুল করে ছক্কা মারেন। পাওয়ার প্লের একদম শেষ বলে গিয়ে সাইফুদ্দিনের ইয়র্কারে বোল্ড হয়েছেন তিনি। তবে বোর্ডে ৬৩ রান এসে যাওয়ায় জিম্বাবুয়ের তাতে অস্বস্তির কারণ ছিল না তা। ২০ বলে ২৭ রানের শুরু দিয়ে যান বাঁহাতি মারুমানি। অন্য প্রান্তে তখন মাত্র ১৬ বলে ৩২ রানে অপরাজিত মাধভেরে।
মাধভেরে চলতে থাকেন একই তালে। তার সঙ্গে মিলে রেজিস চাকাভাও তুলেন ঝড়। ১০ ওভারের আগেই তিন অঙ্ক স্পর্শ করে জিম্বাবুয়ে। মাত্র ২৯ বলেই জুটিতে আসে ৫২।
একাদশ ওভারে নাসুমকে তিন বলে তিন ছয়ে উড়ান চাকাভা। ওই ওভারে আসে ২১ রান। পরের ওভারেই দারুণ দলীয় চেষ্টায় চাকাভাকে ফেরায় বাংলাদেশ।
সৌম্যর বলে আবার উড়িয়েছিলেন তিনি। বাউন্ডারি লাইনে নাঈম শেখে বল ধরে রাখেন বৃত্তের ভেতর। কাছে থাকা শামীম পাটোয়ারি ধরেন ক্যাচ। মাত্র ২২ বলে ৬ ছক্কায় ৪৮ করে ফেরেন জিম্বাবুয়ের হয়ে পুরো সিরিজে আলো ছড়ানো চাকাভা।
ওই ওভারেই আসে আরেক সাফল্য। জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক সিকান্দার রাজাকেও বোল্ড করে দেন সৌম্য।
মাধেভেরে ৩১ বলে তুলে নেন ফিফটি। নিজের শেষ ওভারে এসে মাধভেরেকে ফেরান সাকিব।
প্রথম দিকে রানের যে স্রোত ছিল, শেষ দিকে তা অনেকটাই তখন নেমে আসে। দারুণ বল করে রাশ টেনে ধরেন শরিফুল। তবে সাইফুদ্দিনের ওভার থেকে ঠিকই বেরিয়ে যায় রান। ১৭তম ওভার থেকে আবার চলে আসে ১৯ রান। কিছুটা সময় নিয়ে থিতু হওয়া ডিওন মেয়ার্সকে ১৯তম ওভারে ফেরান শরিফুল।
ওই ওভারে লুক জঙ্গুইকে বেধে রেখে মাত্র ১ রান দেন শরিফুল। কিন্তু শেষ ওভারে আবার খরুচে সাইফুদ্দিন। তার কাছ থেকে বেরিয়ে যায় ১৪ রান। জিম্বাবুয়ে চলে যায় দুইশোর কিনারে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
জিম্বাবুয়ে: ২০ ওভারে ১৯৩/৫ (মারুমানি , মাধভেরে ৫৪, চাকাভা ৪৮ , রাজা ০, মেয়ার্স ২৩ , বার্ল ৩১* , জঙ্গুই ১* ; তাসকিন ০/২৮, সাইফুদ্দিন ১/৫০, শরিফুল ১/২৭, সাকিব ১/২৪ , নাসুম ০/৩৭, সৌম্য ২/১৯)
Comments