তাকে কেউ চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে না দেখে হতাশ বিসিবি প্রধান
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি পদে তাকে কেউ চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে না দেখে হতাশা প্রকাশ করেছেন নাজমুল হাসান পাপন। টানা দুই মেয়াদে বিসিবি প্রধানের পদে থাকা নাজমুল চান এবার অন্তত নতুন নেতৃত্ব উঠে আসুক। বিসিবির আসন্ন নির্বাচনেও তাই নিজের কোন প্যানেল না রাখার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
বিসিবির চলতি কার্যনির্বাহী কমিটির মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে চলতি মাসেই। শিগগিরই হতে যাচ্ছে নতুন নির্বাচন। নির্বাচন সামনে রেখে পাঁচ সদস্যের একটি নির্বাচন কমিশনও গঠন করা হয়েছে। নির্বাচনের আগে মঙ্গলবার শেষ সভা ছিল বোর্ডের। সেখানে ১৭১ জন কাউন্সিলরের তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে। যারাই ঠিক করবেন বিসিবির নেতৃত্ব।
তবে ২০১৭ সালে সর্বশেষ নির্বাচনে ভোট হয়েছিল কেবল দুই পদে। প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় বাকিরা জিতে যান আগেভাগেই। এবারও সেই দিকেই যাচ্ছে সব।
পরিচালকরা নির্বাচিত হওয়ার পর সবার সর্ব সম্মতিক্রমে বোর্ড সভাপতি নির্বাচন করা হয় নাজমুলকেই। এবারও আভাস সেরকমই।
তবে মঙ্গলবার বোর্ড সভা শেষে বেরিয়ে গণমাধ্যমকে এই সংগঠক বললেন তিনি চান এবার ব্যতিক্রম কিছু হোক, কেউ চ্যালেঞ্জ জানাক তাকে, 'আমি যদি এখানে(বিসিবি) থাকি আমার একটা জিনিস মনে হচ্ছে যে আমি মারা যাওয়ার আগ পর্যন্ত এ পদটায় (সভাপতি) কেউ দাঁড়াবে না, এটা আমি মনে প্রাণে বিশ্বাস করি। কিন্তু আমি চাই বোর্ডে যারাই আসে তারা আমাকে চ্যালেঞ্জ জানাক। কেউ বলকু, সভাপতি হতে চাই, কেউ তো বলেও না! এটা ভালো লক্ষণ নয়।'
'কারো জন্য কিছু আটকে থাকে না। আমাদের একটা পাইপলাইন থাকা উচিত যেখানে নতুন নেতৃত্ব আসবে। নেতৃত্ব দেওয়ার মতো লোক আছে কিন্তু দুঃখজনক হলো, কেউ আসতে চায় না। প্যানেল দিলে হয় কী কেউ দাঁড়ায়ই না। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় হয়ে যাচ্ছে। নির্বাচন উন্মুক্ত থাকুক।'
নির্বাচনে নিজের কোন প্যানেল না রাখার ঘোষণা দিয়ে বিসিবি প্রধান বলেন তার প্রথম চাওয়া একজন সাধারণ পরিচালক হওয়া, এবং তাতে জয়ী হলে তিনি চাইবেন সভাপতি না হতে, 'আমার কোনো প্যানেল নাই। যে খুশি দাঁড়াতে পারে। নির্বাচন হবে। যে জিতে আসতে পারে। ওখানে যদি আমি জিতে আসি। তাহলে আমি একজন পরিচালক হয়ে আসবো। এরপর আমার প্রথম আবেদন যেটা থাকবে, আমি সভাপতি হতে চাই না। কিন্তু আমি সমর্থন দেওয়ার জন্য আছি। এরপর কী হয় আমি জানি না। প্রত্যেকবার প্যানেল থাকে, প্যানেল দিলে আর কেউ দাঁড়ায় না। এখন কেউ বলতে পারবে না সে আমার প্রার্থী। এগুলো কিছু নাই। আমি আশা করব এবার নির্বাচনটা হোক।'
গত ১ সেপ্টেম্বর আইসিএবি'র (ইন্সটিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট অব বাংলাদেশ) সাবেক প্রেসিডেন্ট এম ফরহাদ হোসেনকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব দিয়ে পাঁচ সদস্যের নির্বাচন কমিশন গঠন করে বিসিবি। নির্বাচন কমিশনের বাকি চার সদস্য হলেন সাবেক যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ ওমর ফারুক, বিসিবির আইনি পরামর্শক মুদ্দাসির হোসেন, সুপ্রিম কোর্টের এডভোকেট মোহাম্মদ একরামুল হক এবং বিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন।
এই কমিশনই দ্রুততম সময়ের মধ্যে ঘোষণা করবে বিসিবির পরবর্তী নির্বাচনের তফশিল।
Comments