খরুচে সাকিব, ফাইনালে কলকাতাকে বড় লক্ষ্য দিল চেন্নাই

নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেটে ১৯২ রান তুলেছে মহেন্দ্র সিং ধোনির দল।
ছবি: আইপিএল ওয়েবসাইট

ইনিংসের প্রথম ওভারে বল হাতে পেয়ে সাকিব আল হাসান দিলেন ৬ রান। কিন্তু এক ওভার পর ফিরেই মার খেলেন তিনি। দশম ওভারে আবার যখন তাকে বল দেওয়া হলো, তখনও অবস্থার কোনো পরিবর্তন হলো না। সুনীল নারিন বাদে সাকিবের মতোই বিবর্ণ থাকলেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের বাকি বোলাররা। তাদের উপর তাণ্ডব চালিয়ে আইপিএলের ১৪তম আসরের ফাইনালে স্কোরবোর্ডে বড় রান জমা করল চেন্নাই সুপার কিংস।

শুক্রবার দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেটে ১৯২ রান তুলেছে মহেন্দ্র সিং ধোনির দল। তাতে কলকাতা পেয়েছে বড় লক্ষ্য।

বাংলাদেশের বাঁহাতি তারকা অলরাউন্ডার সাকিব ৩ ওভার বল করার সুযোগ পান। কিন্তু তিনি ছিলেন বেজায় খরুচে, দেন ৩৩ রান। নিজের দ্বিতীয় ওভারে রুতুরাজ গায়কোয়াড়ের চার-ছক্কায় ১৩ রান হজম করেন সাকিব। তার পরের ওভারে ফাফ দু প্লেসি ও রবিন উথাপ্পা একটি করে ছক্কা হাঁকিয়ে আদায় করে নেন ১৪ রান। এরপর আর তাকে বোলিংয়ে আনেননি কলকাতার অধিনায়ক ওয়েন মরগ্যান।

সাকিব অবশ্য নিজের দ্বিতীয় ওভারের প্রথম ডেলিভারিতেই পেতে পারতেন উইকেট। তার বল খেলতে গিয়ে ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যান দু প্লেসি। কিন্তু উইকেটের পেছনে থাকা দিনেশ কার্তিক বল গ্লাভসেই জমাতে পারেননি। তাতে নষ্ট হয় কলকাতার সুবর্ণ একটি সুযোগ।

পাওয়ার প্লেতে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৫০ রান আনেন চেন্নাইয়ের দুই ওপেনার। গায়কোয়াড় ও দু প্লেসির উদ্বোধনী জুটি টিকে থাকে ৮.১ ওভার পর্যন্ত। ৬১ রানের এই জুটি ভাঙেন নারিন। শিভাম মাভিকে ক্যাচ দিয়ে ২৭ বলে ৩২ করে সাজঘরে ফেরেন গায়কোয়াড়।

তিনে নামা উথাপ্পা উইকেটে গিয়েই চড়াও হন। তরতর করে বাড়তে থাকে চেন্নাইয়ের রান। দ্বিতীয় উইকেটে দু প্লেসির সঙ্গে মাত্র ৩২ বলে ৬৩ রান যোগ করেন উথাপ্পা। ক্যারিবিয়ান তারকা নারিনকে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে এলবিডাব্লিউ হন তিনি। ১৫ বলে ৩ ছক্কায় ৩১ রান আসে তার ব্যাট থেকে।

৩৫ বলে হাফসেঞ্চুরি ছুঁয়ে ফেলা দু প্লেসি এরপর সঙ্গী হিসেবে পান ইংল্যান্ডের অলরাউন্ডার মঈন আলীকে। তাদের জুটিও এগোতে থাকে আগ্রাসী তালে। ইনিংসের শেষ ডেলিভারিতে দু প্লেসি লং-অনে শিকার হন মাভির। ৭ চার ও ৩ ছক্কায় ৫৯ বলে ৮৩ রান করেন তিনি। তার সঙ্গে ৩৯ বলে ৬৮ রানের জুটিতে মঈনের অবদান ৩৭। ২০ বলের ইনিংসে ২ চার ও ৩ ছয় হাঁকিয়ে অপরাজিত থাকেন তিনি।

কলকাতার হয়ে নারিন ৪ ওভারে ২৬ রানে নেন ২ উইকেট। ১ উইকেট নিতে ৩২ রান দেন মাভি। সবচেয়ে খরুচে ছিলেন নিউজিল্যান্ডের পেস অলরাউন্ডার লোকি ফার্গুসন। তার ৪ ওভারে চেন্নাই তোলে ৫৬ রান। স্পিনার বরুণ চক্রবর্তী খরচ করেন ৩৮ রান।

Comments

The Daily Star  | English

Submarine cable breakdown may disrupt Bangladesh internet

It will take at least 2 to 3 days to resume the connection

24m ago