কোহলিদের বিদায় করে ফাইনালের আশা টিকিয়ে রাখল সাকিবরা
সহজ জয়ের দিকেই এগোচ্ছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। কিন্তু লক্ষ্য তাড়ার শেষদিকে তাদের রানের চাকা শ্লথ হয়ে যাওয়ার পাশাপাশি একের পর এক উইকেট পড়ায় ম্যাচে ছড়াল রোমাঞ্চ। শেষ ওভারে গড়ানো লড়াইয়ে অবশ্য জয় মিলল সাকিব আল হাসানদেরই। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুকে বিদায় করে আইপিএলের ফাইনালের আশা টিকিয়ে রাখল কলকাতা।
সোমবার শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আসরের এলিমিনেটর ম্যাচে মাত্র ২ বল বাকি থাকতে বিরাট কোহলিদের ৪ উইকেটে হারিয়েছে ওয়েন মরগ্যানের দল। ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে আইপিএলের দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে কলকাতার প্রতিপক্ষ দিল্লি ক্যাপিটালস। আগামী বুধবার একই ভেন্যুতে বাংলাদেশ সময় রাত আটটায় দল দুটি পরস্পরের মুখোমুখি হবে।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৩৮ রানের সাদামাটা সংগ্রহ গড়ে বেঙ্গালুরু। জবাবে কলকাতা ১৯.২ ওভারে ৬ উইকেটে ১৩৯ রান তুলে জয় নিশ্চিত করে।
কলকাতার বাংলাদেশি তারকা অলরাউন্ডার সাকিব উইকেট না পেলেও করেন আঁটসাঁট বোলিং। চার ওভারে তিনি দেন ২৪ রান। পরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৬ বলে ৯ রানের কার্যকর ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন তিনি।
চাপে পড়ে যাওয়া কলকাতার শেষ ওভারে জয়ের জন্য দরকার ছিল ৭ রান। বেঙ্গালুরুর ড্যান ক্রিস্টিয়ানের প্রথম ডেলিভারিতেই স্কুপ করে চার মারেন সাকিব। তাতে মরগ্যানদের জন্য সমীকরণ হয়ে পড়ে সহজ। ওই ওভারের চতুর্থ বলে কলকাতার জয়সূচক রানটিও আসে বাঁহাতি সাকিবের ব্যাট থেকে।
বেঙ্গালুরুর দুই ওপেনার ছাড়া বাকি কেউ ২০ রানও করতে পারেননি। অধিনায়ক কোহলির ব্যাট থেকে আসে ৩৩ বলে সর্বোচ্চ ৩৯ রান। দেবদূত পাডিক্কাল করেন ১৮ বলে ২১। শুরুর ভিত কাজে লাগিয়ে পরে গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, এবি ডি ভিলিয়ার্সরা কাঙ্ক্ষিত ঝড় তুলতে ব্যর্থ হন। কলকাতার ক্যারিবিয়ান তারকা সুনীল নারিন স্পিন জাদুতে ২১ রানে নেন ৪ উইকেট।
লক্ষ্য তাড়ায় ভালো শুরু পাওয়া কলকাতার এক পর্যায়ে হাতে ৭ উইকেট নিয়ে আট ওভারে দরকার ছিল ৩৮ রান। কিন্তু পরের সাত ওভারে কেবল ৩১ রান তুলতে তারা হারায় ৩ উইকেট। তবে অধিনায়ক মরগ্যান ও সাকিব দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন।
কলকাতার হয়ে ১৮ বলে সর্বোচ্চ ২৯ রান করেন ওপেনার শুবমান গিল। আরেক ওপেনার ভেঙ্কটেশ আইয়ার ২৬ করতে খেলেন ৩০ বল। বোলিংয়ের পর ব্যাটিংয়েও নজর কাড়েন নারিন। পাঁচে নেমে ১৫ বলে ২৬ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন তিনি।
Comments