টানা চার বাউন্ডারিতে ১৯তম ওভারেই খেলা হাতের মুঠোয় এনে ফেলেছিলেন মুশফিকুর রহিম। শেষ ওভারে ছক্কা মেরে আনুষ্ঠানিকতা সারেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। এরপর স্বাভাবিক একটা উচ্ছ্বাস, তারপর ধীরে সুস্থেই মাঠ ছাড়েন দুজন। এমন বিপর্যস্ত পরিস্থিতি এত শক্তিশালী দলের বিপক্ষে তাদের মাঠেই জেতা, টের পাচ্ছেন তো মুশফিক-মাহমুদউল্লাহ? ম্যাচ শেষে মুশফিকই জানালেন কেন উদযাপনে রেখেছিলেন পরিমিতি বোধ।
২০১৬ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে ওই ম্যাচে খেলা শেষ হওয়ার আগেই উদযাপন করেছিলেন মুশফিল। পরে ৩ বলে ২ রানের সমীকরণ মেলাতে না পারায় সেই উদযাপন নিয়েই তাকে পড়তে হয়েছিল তুমুল সমালোচনায়।
এবার ১৪৯ রানের লক্ষ্যে শেষ ৩ ওভারে যখন দরকার ৩৫ রান। পরিস্থিতি তখন আরও কঠিন। এবার ৩ বল আগেই খেলে শেষ করেছেন তারা দুজনেই। বিপর্যস্ত সময়ে এমন একটা জয় পাওয়ার পরও উচ্ছ্বাস কেন সীমিত, জানালেন মুশফিক, ‘জয় তো জয়ই। এখনও দুইটা ম্যাচ আছে। এখনো সিরিজও জিতি নাই। আরও একটা ম্যাচ জিতে যদি সিরিজটা জিততে পারি তাহলে ইনশাল্লাহ আরও ভালো উদযাপন করব।’
‘আত্মবিশ্বাস ছিল, পেশাদার থাকতে চেয়েছি। পরিকল্পনাগুলো কাজে লাগাতে পেরেছি। অনেক কিছুই হতে পারত। সেসব না ভেবে নিজেদের উপর বিশ্বাসটা বহাল রেখে এগিয়েছি। আমি মনে করি সিরিজ জেতার ভালো সুযোগ আছে।’
৭ নভেম্বর সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে রাজকুটে নামবে দুদল। সেদিন বাংলাদেশ জিতে গেলে হয়ে যাবে সিরিজের ফায়সালা। না হলে নাগপুরে হবে ‘ফাইনাল’ ম্যাচ।