ইভ্যালি পরিচালনায় ৩ সাবেক সচিবের নাম প্রস্তাব বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের

ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির পরিচালনায় নতুন একটি কমিটি গঠনে সাবেক ৩ সচিবের নাম আদালতে দাখিল করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের একক হাইকোর্ট বেঞ্চে এ তিন জনের নাম আজ দাখিল করা হয়।

ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির পরিচালনায় নতুন একটি কমিটি গঠনে সাবেক ৩ সচিবের নাম আদালতে দাখিল করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের একক হাইকোর্ট বেঞ্চে এ তিন জনের নাম আজ দাখিল করা হয়।

তারা হলেন-ভূমি মন্ত্রণালয়ের অবসরপ্রাপ্ত সচিব মাকছুদুর রহমান পাটওয়ারী, স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত সচিব মো. রেজাউল আহসান, ভূমি সংস্কার বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত সচিব ইয়াকুব আলী পাটোয়ারী।

এ ৩ জনের মধ্যে একজনের নাম কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন হাইকোর্ট।

কমিটি গঠনের জন্য প্রস্তাবিত ব্যক্তিদের বিষয়ে পর্যালোচনা করে আদালত আগামী সপ্তাহে আদেশ দেবেন বলে জানিয়েছেন রিটকারী আইনজীবী সৈয়দ মাহসিব হোসাইন।

তবে, আদেশের দিন তারিখ জানানো হয়নি।

আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এ এম মাছুম ও সৈয়দ মাহসিব হোসেন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, রেজিস্ট্রার জয়েন্ট স্টক কোম্পানিজ অ্যান্ড ফার্মস, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও প্রতিযোগিতা কমিশনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী তাপস কান্তি বল।

গত ৩০ সেপ্টেম্বর এক আদেশে ১২ অক্টোবরের মধ্যে ইভ্যালির নথিপত্র আদালতে দাখিল করতে রেজিস্ট্রার জয়েন্ট স্টক কোম্পানিজ অ্যান্ড ফার্মসকে নির্দেশ দেন আদালত। সে অনুযায়ী নথি দাখিল করা হয়।

আইনজীবী তাপস কান্তি বল জানান, সব নথি দাখিল করা হয়েছে। যেহেতু এ কোম্পানিটির দুইজন মালিকই জেলে তাই একটি কমিটি গঠনের অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছেন আদালত। যে কমিটিতে একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারক, অবসরপ্রাপ্ত সচিব, চার্টার্ড অ্যাকাউট্যান্ট ও একজন আইনজীবী থাকতে পারেন।

এর আগে এক গ্রাহকের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ২২ সেপ্টেম্বর ইভ্যালির সব ধরনের সম্পদ বিক্রি এবং হস্তান্তরে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। ওই আদেশের ধারাবাহিকতায় নথি তলবের আদেশ দিয়েছেন বলে জানান আইনজীবী সৈয়দ মাহসিব হোসেন।

আইনজীবী সৈয়দ মাহসিব হোসেন জানিয়েছিলেন, আবেদনকারী ইভ্যালি অনলাইন শপিংমলে মে মাসে একটি ইলেকট্রনিকস পণ্যের অর্ডার করেন। অর্ডারের সময় তিনি মোবাইল ফোনভিত্তিক ডিজিটাল আর্থিক সেবার মাধ্যমে অর্থ পরিশোধ করেছেন। এরপর কোম্পানিটি অনলাইনে তাকে একটি পণ্য কেনার রশিদও দিয়েছেন। কিন্তু এতদিনেও তারা পণ্যটি বুঝিয়ে দেয়নি। আবেদনকারী যোগাযোগ করার পর তাকে আশ্বাস দেয়া হয়। কিন্তু পণ্যটি দেয়নি কিংবা টাকাও ফেরত দেয়নি ইভ্যালি। যোগাযোগ করেও কোনো প্রতিকার পাননি আবেদনকারী। তাই তিনি উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন। আবেদনে কোম্পানিটির অবসান চাওয়া হয়েছে। তার আবেদনের শুনানি নিয়ে আদালত আবেদনটি অ্যাডমিট করেন।

আবেদনে বিবাদী করা হয়-ইভ্যালি লিমিটেড, রেজিস্ট্রার জয়েন্ট স্টক কোম্পানিজ অ্যান্ড ফার্মস, বাংলাদেশ ফিনান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, নগদ, বিকাশ, বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন, ই-ক্যাব অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ, বেসিস, বাংলাদেশ ব্যাংক ও বাণিজ্য সচিবকে।

Comments

The Daily Star  | English
Road crash deaths during Eid rush 21.1% lower than last year

Road Safety: Maladies every step of the way

The entire road transport sector has long been plagued by multifaceted problems, which are worsening every day amid sheer apathy from the authorities responsible for ensuring road safety.

6h ago