অর্থবছর শেষে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ হবে ৫২ বিলিয়ন ডলার

করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে লকডাউনসহ নিয়ন্ত্রণমুলক নানা বিধিনিষেধে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার ব্যাহত হলেও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ চলতি অর্থবছরে ৫২ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হবে বলে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রক্ষেপণ করেছে।
রয়টার্স ফাইল ফটো

করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে লকডাউনসহ নিয়ন্ত্রণমুলক নানা বিধিনিষেধে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার ব্যাহত হলেও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ চলতি অর্থবছরে ৫২ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হবে বলে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রক্ষেপণ করেছে।

আজ চলতি অর্থবছরের মুদ্রানীতি ঘোষণা করে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির তার লিখিত বক্তব্যে এ প্রক্ষেপণ তুলে ধরেন। বৈদেশিক মুদ্রার এই মজুত বাংলাদেশের সাত মাসের বেশি সময়ের আমদানি ব্যয় মেটানোর জন্য যথেষ্ট।

গভর্নর বলেন, 'বর্তমানে আমরা এমন একটা সময় অতিক্রম করছি যখন করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ অর্থনীতিতে একটা আতঙ্কের পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে।'

'সম্প্রসারণমূলক রাজস্ব ও মুদ্রানীতির আওতায় গৃহীত নীতি সহায়তার ফলে ব্যাংকিং খাতে উদ্বৃত্ত তারল্যের পরিমাণ উল্লেখযোগ্য বাড়লেও করোনা মহামারির প্রভাবে সামষ্টিক অর্থনীতি এখনও প্রয়োজনীয় মাত্রায় ঘুরে দাঁড়ায়নি', বলেন তিনি।

তবে রপ্তানি ও প্রবাসী আয় আর উন্নয়ন অংশীদারদের সহায়তা বৃদ্ধি পেয়ে এই অর্থবছরে বৈদেশিক সার্বিক লেনদেনের ভারসাম্যে উদ্বৃত্ত হতে পারে ৫.১ বিলিয়ন ডলার।

এদিকে চলতি অর্থবছরেও গত অর্থবছরের মুদ্রানীতি অব্যাহত রাখা হয়েছে, যাকে গভর্নর সম্প্রসারণমূলক বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রভাবে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে প্রত্যাশিতে গতি না আসায় ব্যাংকে তারল্য বৃদ্ধি পেয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে। যে কারণে বাংলাদেশ ব্যাংকের পলিসি রেটগুলো আগের মতই বহাল রাখা হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

Create right conditions for Rohingya repatriation: G7

Foreign ministers from the Group of Seven (G7) countries have stressed the need to create conditions for the voluntary, safe, dignified, and sustainable return of all Rohingya refugees and displaced persons to Myanmar

1h ago